শেষ সময়ে সেমাই-চিনির দোকানে ভিড়
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। ঈদকে কেন্দ্র করে নগরীর বিপণি বিতানগুলোতে এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের জিনিসপত্র কেনাকাটা শেষের পথে। শেষ কেনাকাটার অংশ হিসেবে বিভিন্ন খাবার ও খাবারের উপকরণ কিনছেন ক্রেতারা। নিজেদের খাওয়া এবং অতিথি আপ্যায়নে সেমাই, চিনি ও মসলার দোকানে ছুটছেন ক্রেতারা।
এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসছে ঈদ। ঈদের দিন সকালে মিষ্টিমুখ করেই দিনটি শুরু করেন মুসলমানরা। মিষ্টিমুখ করতে সেমাইয়ের জুড়ি নেই। নামাজ শেষ নিজের বাড়ি ছাড়াও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান অনেকেই। এদিনে অতিথি আপ্যায়নে কমবেশি সবার ঘরেই থাকে সেমাই, ফিরনিসহ নানান পদ।
বিজ্ঞাপন
রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজারের মুদিপট্টিতে দেখা যায়, শেষ সময়ে সেমাই, চিনি ও অন্যান্য মসলা কিনতে ক্রেতাদের দোকানগুলোতে ভিড়। তারা বলছেন, গত বছরের চেয়ে এই বছর সেমাই, চিনি ছাড়া অন্য মসলাগুলোর দাম বেশি।
সাহেব বাজার স্পেশাল খিল সেমাই প্রতি প্যাকেট ৪০ টাকা, লাচ্ছা সেমাই ডালডায় ভাজা ২০০ গ্রামের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা, ২৫০ গ্রামের একই সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। হাফ কেজি সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে, বেলীফুল অভিজাত মিষ্টি বিপণীতে ঘি লাচ্ছা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা, লাচ্ছা সেমাই ডালডায় ভাজা প্রতিকেজি ৩০০ টাকা, লাচ্ছা সেমাই ঘি-ডালডায় ভাজা প্রতিকেজি ৪০০ টাকা দরে।
বিজ্ঞাপন
সেমাই বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, লাচ্ছা সেমাইয়ের দাম খুব একটা বাড়েনি। প্রায় আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে এখন কয়েক ধরনের লাচ্ছা পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো দামেও কম বেশি রয়েছে। সবমিলে বিক্রি ভালো হচ্ছে। আমাদের এই দুইদিন তো ব্যবসা। এখন মানুষের কেনাকাটা শেষ করে লাচ্ছা সেমাই নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
সাহেববাজারের মুদিপট্টির ঠান্ডু স্টোরের বিক্রেতা আলম হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে সেমাই বিক্রি হচ্ছে বেশি। একই সাথে বিক্রি হচ্ছে সেমাই রান্নার উপকরণ চিনি ও অন্য মসলাগুলো। তবে গত বছরের চেয়ে কয়েকটা পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। বাকিগুলো স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি বলেন, চিনি প্রতিকেজি ১২০ টাকা, বাদাম ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, দারুচিনি ৩৬০ টাকা, কিসমিস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, গুড়া দুধ ৫০০ গ্রাম ডিপ্লোমা ৪১০ টাকা ও স্টারশিপ ৫০০ গ্রাম ৩৫০ টাকা, তেজপাতা ২০০ টাকা কেজি, লবঙ্গ ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, কাজু বাদাম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুরমা-খেজুরের দাম বেড়েছে। খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া এলাচ ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে যে ক্রেতার যতটুকু প্রয়োজন সেই হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে।
নিয়মিত বাজার করতে আসা গৃহিণী নিলুফার ইসলাম বলেন, ঈদের দিন সেমাই, ফিরনি রান্না করি। এ বছরও করতে চাচ্ছি। তাই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনলাম। তবে গত বছরের তুলনায় চিনিসহ অন্য মসলার এবার দামটা একটু বেশি।
শামসুজ্জামান নামের অপর ক্রেতা বলেন, ঈদুল ফিতর আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এক মাস সিয়াম সাধনার পরে ঈদের দিন আমরা ভালো কিছু খেতে ও খাওয়াতে চাই। এ জন্যই সেমাই, চিনি, দুধ, গরম মসলাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনলাম।
ওএফ