শাহ আসাদুজ্জামান

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশিকুর রহমান চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহ আসাদুজ্জামানকে (৫০) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পাশাপাশি এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত অপর তিনজনকে এক দিন করে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৮ মে) বেলা ১২টার দিকে ফরিদপুরের পাঁচ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হাসান এ আদেশ দেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম মৃধা (১৯), মো. প্রিন্স মোল্লা (৩২) ও কবিরুল বিশ্বাস (৪০)।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ ও জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ইউএনওর দেহরক্ষী আনসার সদস্যের হাতে এক নারী রক্তাক্ত জখম হলে এলাকাবাসীর হামলায় ইউএনও, আনসার, পুলিশ, চার নারীসহ ১৫ জন আহত হন। এ সময় ইউএনও ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলার বাদী ইউএনওর গাড়িচালক সুমন শেখ এবং অপর মামলার বাদী মধুখালী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রবীর কুমার সরকার। দুটি মামলাতেই ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহ আসাদুজ্জামানকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।

ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় ইউএনওর গাড়িচালক সুমন শেখ বাদী হয়ে যে মামলাটি করেন ওই মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুখালী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) চম্পক কুমার বড়ুয়া। পাশাপাশি আসামি পক্ষ জামিনের আবেদন জানান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এসআই চম্পক কুমার বড়ুয়া বলেন, আদালত রিমান্ড শুনানি শেষে ইউপি চেয়ারম্যানের দুই দিন এবং বাকি তিনজনের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি আসামিদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।

এদিকে মধুখালী উপজেলার ইউএনও মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসা নিয়ে গত শনিবার (৬ মে) বাসায় চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের পরিচালক এনামুল হক।

মধুখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জহির হোসেন/এমজেইউ