গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, মাঠে মাঠে ঘুরে ঘুরে বলবেন, প্রচার করবেন আপনি আওয়ামী লীগের কর্মী, জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। অথচ দল যাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছে, দলের সেই সিদ্ধান্তকে মানেন না। জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে মানেন না, তাহলে আপনি কিসের আওয়ামী লীগের কর্মী? 

মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে নগরীর সাগর-সৈকত কনভেনশন হলে গাজীপুর জেলা ও মহানগর যুবলীগের প্রতিনিধিবৃন্দের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

মায়া বলেন, যারা দলের বাইরে, জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বাইরে থাকেন তারা আওয়ামী লীগের কেউ না। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কোনো প্রার্থী নেই। দলের একজন প্রার্থী এবং তিনি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান।

তিনি বলেন, যারা আইন মানে না, যারা গণতন্ত্র মানে না, যারা ভোট মানে না তাদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। যারা নৌকার সঙ্গে বেঈমানি করেছে তাদেরকে মোস্তাকের দলে যেতে হবে। আমরা সেই সব বিশ্বাস ঘাতকদের প্রশ্রয় দেব না। এদের দেখলে সালামও দিয়েন না আপনারা, দেবেন? এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা উত্তর দেন- না। 

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মায়া বলেন, যারা আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে তারা নৌকার পক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচারণা করবেন।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, নৌকা একটি অনুভূতির নাম। যেই অনুভূতির ওপর ভর করে লাখো শহীদ রক্ত দিয়েছে নৌকার সম্মান রাখার জন্য। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আমাদের নৌকার মান সমুন্নত রাখতে শপথ নিতে হবে। ঐক্য আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ব্যক্তিস্বার্থ বা আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থ ভুলে আমাদের নৌকাকে তুলে ধরতে হবে। একটি স্বার্থ চরিতার্থ করার সময় পরে পাবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম, এই নির্বাচন একটি গতি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গাজীপুরের সিটি নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। নির্বাচনটা এমন একটা সময়ে হচ্ছে যখন ৬ মাস পর আমাদের জাতীয় নির্বাচন। গাজীপুরের সিটি নির্বাচনে নৌকার জয় জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে বিশেষজ্ঞরাই মনে করে।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে আনন্দের ব্যাপার জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লার মতো সজ্জন একজন প্রার্থী আমরা পেয়েছি। সন্ত্রাস এবং মাদকমুক্ত নগর গঠনে আজমত উল্লার বিকল্প নেই। অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের সবচেয়ে বড় শক্তি তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহজে মিশে যাওয়ার অনন্য গুণাবলীর কারণে এবং পারিবারিক ইমেজের কারণে আমাদের প্রার্থীর ভোট ব্যাংক সৃষ্টি হয়েছে। এই ব্যক্তিগত ভোট ব্যাংক আজমত উল্লা খানের জয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এস এম কামাল হোসেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জুয়েল আরেং, এনামুল হক খান, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, জহুর উদ্দিন খসরু, যুবলীগের ঢাকা উত্তর বিভাগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল আলম জোয়ার্দার, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল প্রমুখ। 

শিহাব খান/আরএআর