যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা হত্যা, আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরে আলোচিত যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এর মধ্যে মামলার ১৬ নম্বর আসামি শহিদ উল্লাহ ও অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে আলাউদ্দিন আলোকে গ্রেপ্তর করা হয়। গ্রেপ্তার শহিদ মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদীর ব্যক্তিগত সহকারী বলে জানিয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার (৯ মে) রাত ১১টার দিকে র্যাব-১১ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শহিদ ও আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তার শহিদ সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের গোলাম রাব্বানির ছেলে ও মামলার ১৬ নম্বর আসামি। এছাড়া আলাউদ্দিন একই গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে ও অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রধান আসামি কাশেম জিহাদীর ব্যক্তিগত সহকারী শহিদসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে। তাদের কাছ থেকে ঘটনা সংক্রান্ত কিছু তথ্য পেয়েছি। তদন্ত স্বার্থে তা বলা যাচ্ছে না। মামলার প্রধান আসামি কাশেম জিহাদীসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও র্যাব সূত্র জানায়, শহিদ ও আলাউদ্দিন ছাড়াও এর আগে মামলার ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মশিউর রহমান নিশান, রামগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক দেওয়ান ফয়সাল, আওয়ামী লীগ কর্মী রুবেল দেওয়ান, আজিজুল ইসলাম বাবলু, কদু আলমগীর, তারেক আজিজ, মো. সবুজ, মনির হোসেন রুবেল, ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারী, নাজমুল হোসেন নাজিম, আরমান হোসেন ও ফারুক হোসেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামি দেওয়ান ফয়সাল ও কদু আলমগীর আদালতে পৃথক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দারবাজার এলাকায় জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায়। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন রাতে নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরকে