ডাক্তার দেখাতে গিয়ে নিখোঁজ মা, অপেক্ষায় দুই সন্তান
নীলফামারী ডোমারে নিখোঁজের চার দিনেও শেফালি বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার খোঁজ না পেয়ে অজানা শঙ্কায় দিন কাটছে স্বজনদের। এদিকে, নিখোঁজ মায়ের অপেক্ষায় বসে আছে তার দুই শিশু সন্তান।
শনিবার (১৩ মে) বিকেলে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন শেফালি। পরে এ ঘটনায় রোববার (১৪ মে) ডোমার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন গৃহবধূর স্বামী। শেফালি বেগম উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের হলহলিয়া এলাকার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী। তাদের শাহাদাত (৯) ও আরাফাত (৫) নামে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নিখোঁজ শেফালি বেগমের মা বৃদ্ধ হাজেরা বেগম (৭০) ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবার আমার দুই নাতি শাহাদাত ও আরাফাতের খাৎনা দেওয়া হয়। আমিও সেই অনুষ্ঠানে আসি। শনিবার বিকেলে আমার মেয়ে শেফালি আমাকে বলেন তার জ্বর ও পেট জ্বালাপোড়া করছে। ডাক্তার দেখাতে হবে। বিকেলে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে আমাকে তার দুই সন্তানের কাছে রেখে বাড়ি থেকে বের হয়। আমি দুই নাতিকে নিয়ে জামাইয়ের বাড়িতে থাকি কিন্তু রাত হয়ে গেলেও মেয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। ঘটনাটি আমি আমার জামাইকে জানালে সে ডাক্তারের চেম্বারে গিয়েও তার খোঁজ পায়নি।
শেফালি বেগমের স্বামী রুহুল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জ্বর ও পেটজ্বালা পোড়া করছে বলে গত শনিবার বিকেলে হাসিনুর ডাক্তারের কাছে যাবে বলে আমার কাছে ৫০০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় সে। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও বাড়িতে সে ফিরে না আসায় আমি হাসিনুর স্যারের দুই চেম্বার ডোমার রেলঘুন্টি ও বোড়াগাড়ী বাজারে যাই। সেখানে আমার স্ত্রীর দেখা না পেয়ে বাড়িতে ফিরে দেখি সে আসেনি। তার জন্য আমার ছেলে দুইটা ছেলে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শেফালি বেগমের বড় ছেলে শাহাদাৎ ঢাকা পোস্টকে বলে, আমরা তিনদিন থেকে মাকে দেখতে পাচ্ছি না। মা কোথায় আছে, কেমন আছে জানি না।
ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিখোঁজ গৃহবধূর সন্ধানে আমাদের সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আশা করি তাড়াতাড়ি তার খোঁজ পাওয়া যাবে।
শরিফুল ইসলাম/এমএএস