যৌনকর্মীদের সন্তানদের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন দেওয়া হবে। পাশাপাশি মানবপাচর রোধ এবং যৌনপল্লি কিভাবে পরিচালিত হবে তার ব্যাপারে আইন ঘেটে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ফরিদপুরে শিশুর যৌন শোষণ প্রতিরোধে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ অভিমত দেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।সোমবার (২২ মে) বিকেল ৫টার দিকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শাপলা মহিলা সংস্থার উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয় ।

ওই সভায় যৌনকর্মীদের সন্তানদের জিডিটাল পদ্ধতিতে জন্ম নিবন্ধন করা ও শিশুদের দিয়ে যৌন ব্যবসা নিষিদ্ধ করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সভায় শাপলা মহিলা সংস্থার সমন্বয়কারী প্রশান্ত সাহা বলেন, এনালগ পদ্ধতিতে যৌনকর্মীর সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন করা হয়েছিল। কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতিতে এ নিবন্ধন করতে গিয়ে নানা ধরণের তথ্য দিতে না পারায় তা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে লেখাপড়া করা, সমাজের আর ১০ জন মানুষের মত সমাজে অবমূল্যায়নসহ যৌনকর্মীর সন্তানদের নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

তিনি বলেন, যৌনপল্লিতে শিশুদের এনে যৌন কাজ করানো হচ্ছে এটি কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। এটা রোধে উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

সভায় জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, যৌনকর্মীদের সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা যাবে। তার অপশন আছে। এরপরও যদি কারও সন্তানদের নিবন্ধন করতে সমস্যা হয় তবে তাদের তালিকা পেলে তিনি এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, যৌনকর্ম আমাদের দেশে বৈধ না অবৈধ পেশা সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই। যদি বৈধ পেশা হয় তবে আইনগত সব সুরক্ষার আওতায় তাদের আনা হবে। আর যদি অবৈধ পেশা হয় তাহলে আইনগত কোনো সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়। পরবর্তী মাসিক মানব পাচার সভায় এ দিকগুলো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন  শাপলা মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক চঞ্চলা মন্ডল, উপ নির্বাহী পরিচালক শ্যামল প্রকাশ অধিকারী, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক পান্না বালা, ব্লাস্টের সমন্বয়কারী শিপ্রা গোস্বামী, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বিএফএফ এর পরিচালক আনম ফজলুর হাদী, আইনজীবী শাসুন্নার নাঈম  প্রমুখ।

জহির হোসেন/আরকে