এম মখলিছুর রহমান

আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দিয়ে আলোচনায় আসা হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার এম মখলিছুর রহমানের বিরুদ্ধে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে। 

গতকাল সোমবার (২২ মে) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বনগাঁও গ্রামের তরাবত উল্লার ছেলে মো. মোস্তাফিজুর রহমান মর্তুজ এম মখলিছুর রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দায়িত্ব দিয়েছেন। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আব্দুল কাদির মুন্সির ছেলে শাজাহান মুন্সি (৪৬), মৃত আব্দুস শহিদের ছেলে মো. সাহাব উদ্দিন মুন্সি, মো. সাহাব উদ্দিন মুন্সির ছেলে সাজু চৌধুরী, মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে শাহানুর মুন্সি ও মৃত আব্দুল কাদির মুন্সির ছেলে শাহ জামাল মুন্সি।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদী মো. মোস্তাফিজুর রহমান মর্তুজের মেসার্স মুন্সি ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। এর অর্ধেক মালিকানা বিক্রি করার জন্য শাজাহান মুন্সির সঙ্গে এফিডেভিটের মাধ্যমে একটি অঙ্গীকারনামা করা হয়। পরবর্তীতে মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হলে শাজাহান মুন্সির ছোটভাই শাহ জামাল মুন্সি নিজে দায়ভার গ্রহণ করে আরেকটি চুক্তি করেন এবং দুটি চেক প্রদান করেন। পরে টাকা পরিশোধ না করে তালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে টাকা পরিশোধ করা হবে না বুঝতে পেরে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। গত ১০ মে (বুধবার) আসামিদের প্ররোচনায় ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট দেন এম মখলিছুর রহমান। যা অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মামলার বাদী ও তার পরিবারকে বিরক্ত, অপমান ও হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। 

এ ব্যাপারে মামলার বাদী মো. মোস্তাফিজুর রহমান মর্তুজ বলেন, শাজাহান মুন্সি ও তার ভাইয়ের কাছে আমি টাকা পাই। যার প্রমাণাদি রয়েছে। কিন্তু টাকা পরিশোধ না করার জন্য এম মখলিছুর রহমানকে ভাড়া করে এনে তাকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মানহানিকর ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।

মামলা দায়েরের বিষয়টি শুনেছেন জানিয়ে এম মখলিছুর রহমান বলেন, আমি মামলায় ভীত নয়। আমাকে আসামি করায় আমার ফেসবুকের ভিউ আরও বাড়বে। 

এম মখলিছুর রহমানের ফেসবুকে দেওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, শাজাহান মুন্সি গায়ে কাফনের কাপড় জড়িয়ে মোস্তাফিজুর রহমান মর্তুজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করছেন। সেই সঙ্গে তিনি স্থানীয় এমপির বাসায় কাফনের কাপড় নিয়ে মরতে যাবেন বলে মন্তব্য করেন। 

আজহারুল মুরাদ/আরএআর