নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদ সাময়িক বরখাস্ত
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ছাত্রলীগ নেতা জামিউল ইসলাম জীবন হত্যা মামলার চার্জশিট (অপরাধ) আদালত গ্রহণ করায় চেয়ারমান পদ থেকে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
একই সঙ্গে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ায় পরিষদের কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য প্যানেল চেয়ারম্যান-১ কে উপজেলা চেয়ারম্যানের আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-১ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠি প্রাপ্তির পর থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। এর আগে ওই মামলাজনিত কারণে উপজেলা পরিষদ চেয়ারমান আসাদ কারাগারে অবস্থান করায় আর্থিক স্বাক্ষরিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
বিজ্ঞাপন
এ অবস্থায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য প্যানেল চেয়ারম্যান-১ কে উপজেলা চেয়ারম্যানের আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়।
সাময়িক বরখাস্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমি মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা বরখাস্তের চিঠি এখনো হাতে পাইনি। চিঠি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস শুকুর বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলীম জীবন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় অনেক আগেই আসাদুজ্জামান আসাদকে আওয়ামী লীগের সব পদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজিনা আক্তার জানান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ার খবর বিভিন্ন লোকমুখে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেনেছেন। তবে এখন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি হাতে পাননি। চিঠি হাতে পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এ বিষয়ে কার্যকর ভুমিকা রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার তিন ভাইসহ অন্যরা ছাত্রলীগ নেতা জামিউল ইসলাম জীবনকে মারধর করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় জীবনের মা জাহানারা বেগম নলডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর পালালেও উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফেরেন আসাদ। পরে অন্য একটি মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে নিম্ন আদালতের নির্দেশে কারাগারে রাখা হয় তাকে। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দিয়েছে। এ কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে মন্ত্রণালয়।
তাপস কুমার/আরকে