সিরাজগঞ্জের ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের নলকা সেতুর পশ্চিম পাশে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ জনে। এ দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ দুই নারী ও অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন। 

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহাসড়কের ফুলজোর ডিগ্রি কলেজের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে দুজনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সিরাজগঞ্জ শহরের ফজল খান রোডের রিপন শেখের স্ত্রী মোর্শেদা খাতুন (২২) ও তার ৭ মাসের ছেলে শাহিন ইসলাম। বাকি দুজনের নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল কবীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিরাজগঞ্জের একটি লোকাল বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই এক নারী নিহত হন। পরে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরে ৭ মাসের এক শিশু ও আরেক নারীর মৃত্যু হয়। 

ওসি আরও বলেন, আমরা ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। নিহতের পরিবারের লোকজন থানায় আসছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত পরিবহন দুটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। 

এদিকে স্থানীয়রা জানান, এই তিনজনের বাইরেও সিএনজি অটোরিকশার চালকও ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। তার পরিবারের লোকজন মরদেহ নিয়ে গেছে। 

তবে হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি বলছেন, চালক মারা গেলেও এই বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েও তাকে পাইনি এবং হাসপাতালেও পাইনি। সে মারা যেয়ে থাকলেও আমার কাছে সেই তথ্য নেই। 

সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শামীমুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুর্ঘটনার ঘটনায় আহত অবস্থায় শিশুসহ পাঁচজনকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। এর মধ্যে এক শিশু ও নারী মারা গেছেন। বাকি ৩ জন এখানে ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তবে মারা যাওয়া নারী ও শিশুর সম্পর্ক কি এটা এখনো জানা যায়নি। হাসপাতালের তাদের অজ্ঞাত হিসেবে আনা হয়েছিল।

শুভ কুমার ঘোষ/আরকে