আর ভিক্ষা করতে হবে না আনোয়ারা-আজিবাদের 

ভিক্ষাবৃত্তির অভিশাপ থেকে মুক্ত হলো আনোয়ারা, রঞ্জন বিবি ও আজিবা খাতুন। আর ভিক্ষা করতে হবে না তাদের। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মোটরচালিত ‘ভ্যানগাড়ি’ পেয়ে তারা মহাখুশি। 

মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ‘ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের’ আওতায় তিন ভিক্ষুককে এসব ভ্যানগাড়ি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। 

উপকারভোগীরা হলেন, নোয়াখালী পৌরসভা আইয়ুবপুর গ্রামের মধু মিয়ার বাড়ির জালালের মেয়ে আনোয়ারা খাতুন, গোপাই এলাকার আবিদ মিয়ার মেয়ে রঞ্জন বিবি ও আবতুল রবের বাড়ির আবদুল লতিফের মেয়ে আজিবা খাতুন।

ভিক্ষা না করার শপথ নিয়ে ভিক্ষুক আনোয়ারা খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে মোটরচালিত ‘ভ্যানগাড়ি’ উপহার দিয়েছেন। আমার ভ্যানগাড়িটি মেয়ের জামাই চালিয়ে আমাকে টাকা দেবে। আমি অনেক খুশি। আর ভিক্ষা করব না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করব। 

ভিক্ষুক রঞ্জন বিবি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি অসুস্থ। ভিক্ষাও পাই না। মোটরচালিত ভ্যানগাড়িটি পেয়ে আমার খুব খুশি লাগছে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।

ভিক্ষুক আজিবা খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ভিক্ষুক নই, এখন থেকে মোটরচালিত ভ্যানগাড়ির মালিক। এটা ভাড়া দিয়ে নিজের ওষুধ খাবার খরচ চালামু। ডিসি স্যার গাড়ি দিসে। এটার জন্য দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করুম। আল্লাহ শেখ হাসিনার ভালো করুক। 

এ সময় জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ভিক্ষাবৃত্তির অভিশাপ থেকে মুক্ত হলো আনোয়ারা, রঞ্জন বিবি ও আজিবা খাতুন। আর ভিক্ষা করতে হবে না তাদের। নারীরা শেষ বয়সে বোঝা হয়ে পড়েন। কেউ তাদের পাশে দাঁড়ায় না। ছেলে-মেয়ে সন্তানরা খোঁজ খবর নেয় না। তাই আমরা ভিক্ষুক নারীদের পুনর্বাসন করছি। তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। এটাই বড় আনন্দের বিষয়।

তিনি আরও বলেন, ভিক্ষুক পুনর্বাসন করা বাংলাদেশ সরকার প্রধান শেখ হাসিনার অঙ্গীকার। তিনি নানান প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও আশ্রয়হীনদের মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়েছেন। আশা করি আমরা দ্রুত নোয়াখালীকে ভিক্ষুক মুক্ত করতে পারব।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজিমুল হায়দারের সভাপতিত্বে এ সময় নোয়াখালী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম পাটোয়ারী, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়রের প্রতিনিধি জাহিদুর রহমান শামীম, শহর সমাজসেবা অফিসার মো. আব্দুল হামিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

হাসিব আল আমিন/আরকে