নারায়ণগঞ্জে হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মামুন মিয়া হত্যা মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া একই মামলার অন্য একটি ধারায় আসামিদেরকে আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৫ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা এ রায় দেন।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রহিম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বন্দরের শ্রী রামপুরের মো. গাফফার (২৩) ও সোনারগাঁয়ের উত্তর পাড়ার মাসুদ রানা ওরফে মাসুদ (২০)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৮ জুলাই বিকেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হন মামুন মিয়া। রাত ৯টার দিকে তাকে তিনজন যাত্রী নিয়ে হাড়ড়াপাড়া দিয়ে যেতে দেখেন মামুনের চাচাতো ভাই একিন আলী। এর কিছুক্ষণ পর থেকে মামুনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন একটি নম্বর থেকে কল করে মামুনকে অপহরণের কথা জানিয়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে অপহরণকারীদের ধরতে পুলিশের সাহায্যে নেয় মামুনের পরিবার। ফতুল্লার পাঠানতুলী এলাকায় এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দিতে গেলে পুলিশ সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে। ওই সময় পালিয়ে যান অন্যরা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে মামুনকে অপহরণের কথা। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন মামুন মিয়ার মা সুফিয়া বেগম।
আসামিদের মধ্যে গাফফার ও মাসুদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা মামুনকে অপহরণের পর হত্যা করে তার মরদেহ পুকুরে ফেলে দেন। পুলিশ ওই পুকুর থেকে মামুনের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তে নিশ্চিত হয় সেগুলো মামুনের।
পরে ২০১৪ সালের ৪ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম এ মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দেন। মামলাটিতে ১৯ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।
আবির শিকদার/এমজেইউ