মৌলভীবাজার শহরের কুসুমবাগ এলাকার খান্দানী রেস্টুরেন্টে তানিম নামের ১৩ বছর বয়সী এক কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রেস্টুরেন্টের অপর কর্মচারী ও পান দোকানদার মিলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৫ জুন) দুপুরে সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানিম মারা যায়। 

নিহত তানিমের নিকট আত্মীয়রা জানান, শনিবার দিবাগত রাত ৮টায় নিহত কিশোর তানিম এবং রেস্টুরেন্ট কর্মচারী হবিগঞ্জ জেলা সদরের জালাল মিয়ার (৫৫) মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে জালাল তানিমকে ঝাড়ু ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এসময় তানিম জখম হয়ে মাটিতে পড়ে থাকে। তার মাথায়, কান ও গলায় জখম আছে। ঘটনার পর তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রেস্টুরেন্টের পাশের কক্ষে ফেলে রাখেন তার সহকর্মীরা। এ ঘটনায় পুলিশ জলাল নামের একজনকে আটক করেছে। নিহত তানিম শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনয়নের রায়পরাণ গ্রামের মুহিত মিয়ার ছেলে। তানিম প্রায় ৩ মাস যাবৎ ওই রেস্টুরেন্টে কাজ করছে।

নিহতের মামাতো ভাই জমসেদ মিয়া বলেন, আহত অবস্থায় তানিম আমাকে বলে রেস্টুরেন্টের কর্মচারী জালাল ও পাশের পান দোকানদার বদরুল ও আজিজুল মিলে আমায় প্রচণ্ড মারধর করেছে। খবর পেয়ে তানিমের বাবা, রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার সবুজ ও আমি মিলে তাকে ঘটনাস্থল থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে তাকে রেফার করা হয়। রোববার দুপুর ২টায় তানিম মারা যায়।

রোববার রাত ৮টায় খান্দানী রেস্টুরেন্টে গেলে দেখা যায়, রেস্টুরেন্টটি তালাবদ্ধ ও সঙ্গে পান দোকানটিও তালাবদ্ধ। ওই সময়ে পুলিশ রেস্টুরেন্টটি ঘিরে রেখেছিল। তানিমের মৃত্যুর সংবাদ রোববার ছড়িয়ে পড়লে রেস্টেুরেন্টের অন্যান্য কর্মচারীরা পালিয়ে যান। 

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মশিউর রহমান জানান, ওই ঘটনায় জলাল নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।  

ওমর ফারুক নাঈম/আরকে