সেফ হোমের ১৪ জন পলাতক, সহকারী হোস্টেল সুপার বরখাস্ত
গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়ায় অবস্থিত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মহিলা, শিশু ও কিশোরী সেফ হোম থেকে বুধবার রাতে ১৪ হেফাজতি পালিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে ৭ জনকে উদ্ধারের পর আরও দুইজনের সন্ধান পাওয়া গেছে। বাকি পাঁচজনেরও অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় সেফ হোম কেন্দ্রের সহকারী হোস্টেল সুপারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক ও আবাসন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদা খানম বলেন, সবশেষ সন্ধান পাওয়া দুইজনই রয়েছে তাদের অভিভাবকের হেফাজতে। অভিভাবকরা ফোনে জানিয়েছেন, তারা অসুস্থ থাকায় তাদের কেন্দ্রে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। সুস্থ হওয়ার পর হেফাজত কেন্দ্রে ফেরত পাঠাবেন। দুইজনের মধ্যে একজন আছে কেরানীগঞ্জে এবং অপরজন নরসিংদীতে। বাকি ৫ জনের অবস্থানও শনাক্ত করা গেছে। দ্রুত তাদের উদ্ধার করা হবে।
ফরিদা খানম আরও বলেন, এ কেন্দ্রের সহকারী হোস্টেল সুপার মরিয়ম খাতুন, নিয়মিত হোস্টেলে অবস্থান করতেন না। তাকে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে (বৃহস্পতিবার) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অপরদিকে, দুই মাস আগে জামালপুরের উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে এ কেন্দ্রে ফুলটাইম তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দিলেও তিনি যোগদান না করায় তাকেও শোকজ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার বিকেলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এবং সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের পরিচালক মনোয়ারা ইসরাত। অন্য সদস্যরা হলেন, আবাসন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদা খানম, উপসচিব জগদীশ দেবনাথ, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম ও গাজীপুর জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহনাজ আক্তার।
মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক ও আবাসন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদা খানম বলেন, এখানে ফুলটাইম অফিসার নেই। আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ফারুক জানান, এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের স্টোর কিপার আবদুর রহমান মোল্লা বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলা দায়ের করেছেন।
গাজীপুর/এমআইএইচ