রাজবাড়ীর বড় গরুগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ‘কালো পাহাড়’। খামারি নিজাম মহাজন ১০ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট উচ্চতার ফ্রিজিয়ান জাতের ৩০ মণ ওজনের ষাঁড়টির দাম হাঁকিয়েছিলেন ১৫ লাখ টাকা। রাজবাড়ীর স্থানীয় হাটে বিক্রি করতে না পারায় গরুটিকে তোলা হয়  রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে। সেখানে গত মঙ্গলবার (২৭ জুন) গরুটি ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন নিজাম। 

জানা গেছে, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের অলংকারপুর গ্রামের খামারি নিজাম মহাজন গত ৪ বছর ধরে কালো পাহাড়কে লালন-পালন করেছেন। খামারির নিজের খেতে উৎপাদিত প্রাকৃতিক খাবার ও কাঁচা ঘাস খেয়ে পরম মমতায় বেড়ে উঠেছিল কালো পাহাড়। ৩০ মণ ওজনের বিশাল আকারের গরুটির খাবার মেনুতে ছিলো কাঁচা ঘাস, ভুট্টা, গম, খেসারির ভুসি। প্রাকৃতিক খাবারের পাশাপাশি কলা, আপেল, কমলা, বেদানা, বেগুন ও মৌসুমি ফল আমও খেয়েছে গরুটি।

খামারি নিজাম মহাজন বলেন, আমার বাড়িতে পালিত গাভি থেকে চার বছর আগে জন্ম নেয় এই ষাঁড় গরুটি। সম্পূর্ণ কালো রং ও এর দৈহিক বৃদ্ধি দেখে আদর করে নাম রাখি ‘কালো পাহাড়’। ষাঁড়টির ওজন ৩০ মণ। আমি নিজের সন্তানের মতো আদর করে ষাঁড়টিকে বড় করেছি। চার দাঁতের কালো পাহারের দাম চেয়েছিলাম ১৫ লাখ টাকা। আমার বাড়িতেই গরুটির দাম উঠেছিল সাড়ে ১০ লাখ টাকা। কিন্তু ইচ্ছা ছিল আরও বেশি দামে বিক্রি করবো। তাই ২০ হাজার টাকা খরচ করে ঢাকার গাবতলী হাটে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি বড় গরুর ক্রেতা কম, আবার দামও কম। পরবর্তীতে ৬ লাখ টাকায় গরুটিকে বিক্রি করি। কপালে যা ছিল তাই হয়েছে।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. খায়েরউদ্দিন বলেন, ‘কালো পাহাড়’ জেলার বড় গরুগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল। খামারি ১৫ লাখ টাকা দাম চেয়েছিলেন। আশা করেছিলেন ১২ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু তিনি গরুটি ৬ লাখ টাকায় শেষ পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় দামও তুলনামূলক কম।

মীর সামসুজ্জামান/আরএআর