রামেক হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পৃথক ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশের বাইরে ভ্রমণের রেকর্ড পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে- তারা ভ্রমণের সময়েই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জরুরি অবস্থা তৈরি হয়নি। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিজ্ঞাপন
রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, বর্তমানে হাসপাতালে ১১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। গতকাল রোগী ছিল ৯ জন। এর মধ্যে বাঘার পাপ্পু (৪০) নামে এক ব্যক্তি আইসিইউতে আছেন। আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন নারী-শিশু ও আটজন পুরুষ রয়েছেন। আক্রান্তদের সবাই ঢাকা থেকে রাজশাহীতে এসেছেন।
ডেঙ্গু আক্রান্তরা হলেন- রাজশাহীর শাহ মখদুম থানা এলাকার নূর ইসলাম (৩৫), বোয়ালিয়া থানা এলাকার সাহেদা খাতুন (১২), গোদাগাড়ী উপজেলার ওহিদুল (৩২), চারঘাট উপজেলার আনোয়ার (২৮), বাঘার পাপ্পু (৪০), নাটোরের সিংড়ার বিপাশা (১৮), বাগাতিপাড়ার সোয়ান (২৪), নওগাঁর মান্দার মনিরা (১৩), সিরাজগঞ্জের তাড়াশের শামীম (২৮) ও একই উপজেলার নূর নবী (২৮)। তারা সবাই রামেক হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার শামীম জানান, ঢাকায় তিনি ট্রাক চালান। ঈদের তিন দিন আগে রাতে ঢাকায় মশারি টানিয়ে ঘুমালেও তাকে মশা কামড়ায়। ছুটিতে ঈদের আগের দিন সিরাজগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে আসেন। সেদিন জ্বরে আক্রান্ত হলে নাটোরের গুরুদাসপুরে ডেঙ্গু পরীক্ষা করেন। এতে তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরে তিনি রামেক হাসপাতালে ভর্তি হন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত বিপাশার বাবা আজমল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিপাশা ঢাকায় নানা বাড়িতে সাত দিন ছিল। সে ঈদের পরের দিন বাড়িতে আসে। সেই থেকে জ্বর অনুভব করে। পরে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে তার চিকিৎসা চলছে।
রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান খান বাদশা জানান, বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। এ সময় সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের বিষয়ে যন্ত্রবান হতে হবে। ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসের পরামর্শ নিতে হবে।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহম্মদ জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের অধিকাংশই ঢাকাফেরত। ধারণা করা হচ্ছে- তারা ডেঙ্গুর জীবাণু নিয়েই ঈদ করতে এসেছিলেন। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ টিম করা হয়েছে। আক্রান্তদের একজন আইসিইউতে আছেন। এছাড়া বাকিরা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে ।
শাহিনুল আশিক/এএএ