অন্যের এনআইডি ও মোবাইল নম্বর দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটতেন তিনি!
টিকিট কালোবাজারি বন্ধে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও কালোবাজিরা অবৈধ পন্থা ঠিকই খুঁজে নিচ্ছেন। টিকিটে নাম ও মোবাইল নম্বর একজনের, আর ভ্রমণ করছেন অন্যজন। তাছাড়া একই টিকিট টেম্পারিং করে আরেকজনের কাছে বিক্রি করা হতো। এতে ট্রেনযাত্রীরা পড়তেন মুশকিলে।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জয়পুরহাটে টিকিট কালোবাজারি চক্রের এক সদস্যকে জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচারক। এক সঙ্গে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১০ জুলাই) জেলা শহরের এক নম্বর স্টেশন রোড জয়পুরহাট পৌরসভা সংলগ্ন মাস্টার কম্পিউটারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। দেড় ঘণ্টাব্যাপী অভিযানের পর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়।
এতে ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী শফিকুল ইসলামকে ১৫ দিনের জেল ও দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক শামীম হোসাইন। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিচারক শামীম হোসাইন বলেন, ট্রেনের টিকিট বিক্রির জন্য অন্যের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হতো। তাছাড়া অন্য মানুষের জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করতেন তিনি। এভাবে বিপুল পরিমাণ টিকিট অনলাইনের মাধ্যমে কেটে বেশি মূল্যে বিক্রি করা হতো। আবার ফটোকপি মেশিনের মাধ্যমে এক টিকিট ট্যাম্পারিং করে অন্যজনের কাছে বিক্রি করতেন। এমন সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শফিকুল ইসলামের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সত্যতা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
চম্পক কুমার/এমএএস