বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ইতোমধ্যে বন বিভাগ ও সামাজিক বনায়ন একত্রিত করে ২২.৩৭ শতাংশ বনায়ন করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আর মাত্র ১.৬৩ শতাংশ বাকী। ২০৩০ সালে আমরা প্রধানমন্ত্রীর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে ২৫ শতাংশ বনায়ন করতে সক্ষম হব।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা এবং জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। বিগত করোনার সময় আমরা এই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছি। আমি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদেরকে বেশি বেশি গাছ রোপণ করতে হবে। গাছ ছাড়া জলবায়ু মোকাবিলায় আমরা দেশবাসীকে রক্ষা করতে পারব না।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, অপ্রয়োজনে কোনো গাছ কাটা যাবে না। আমরা বার বার অনুরোধ করছি এবং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আছে ২০৩০ সাল পর্যন্ত পাহাড়ের কোনো গাছ কাটা যাবে না। ২০৩০ সাল পর্যন্ত সরকারি বনায়নের কোনো গাছ বিক্রি এবং কাটা হবে না। যদি কেউ অবৈধভাবে গাছ কাটে তাহলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়, পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন।

মন্ত্রী এ সময় মৎস্য বিভাগের সফলতা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ২০০৬ সালে দেশে ২৯ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। আর ২০২১-২২ সালে দেশে মাছ উৎপাদন হয়েছে ৪৭.৫৯ লাখ মেট্রিক টন। আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে পৃথিবীর মধ্যে তৃতীয়, তেলাপিয়া উৎপাদনে চতুর্থ, বদ্ধ জলাশয় ও পুকুরে পঞ্চম এবং সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে ৮ম স্থানে রয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় বন ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ওমর ফারুক নাঈম/এমজেইউ