মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি
ঘটনাস্থলের পাশেই ভেসে উঠলো তুরানের মরদেহ
মুন্সীগঞ্জ লৌহজংয়ে ৪৬ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারডুবির দুই দিন পর তুরান নামে এক শিশুর মরদেহ ভেসে উঠেছে। সোমবার (৭ আগস্ট) ভোরে ঘটনাস্থলের পাশেই তার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা মরদেহ ভেসে উঠতে দেখে স্বজনদের খবর দিলে তারা মরদেহ আনতে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তবে তুরানের বোন নাভাসহ (৫), আরেক শিশু মাহীন (১১) এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে তুরানের দাদা নুরুল ইসলাম বলেন, যেখানে ট্রলার ডুবেছিল তার পাশেই সকালে তুরানের মরদেহ ভেসে ওঠে। স্থানীয় মানুষজন আমাদের খবর দিয়েছে। তারা জানিয়েছে মরদেহের পরনে লালগেঞ্জি ও জিন্সের প্যান্ট পরা। এতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি এটা তুরানের মরদেহ। আমরা এখন মরদেহ আনতে যাচ্ছি।
অপরদিকে মোহাম্মদ আরশাদ হোসেন নামে এক স্বজন জানান, সকালে তুরানের মরদেহ পাওয়া গেছে। অপর নিখোঁজ দুই শিশুর সন্ধানে আমরা ভোর থেকে ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলের আশপাশে খোঁজ করছি, কিন্তু এখনো আমাদের দুই শিশু নিখোঁজ।
বিজ্ঞাপন
>>> ‘চোখের সামনে বউ-বাচ্চা ভাইসা গেল, কিছুই করতে পারলাম না’
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দি ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামের নারী-শিশুসহ ৪৬ ব্যক্তি ট্রলারে দিয়ে পদ্মা নদীতে পিকনিকে যান। পিকনিক শেষে ট্রলারটি তালতলা-গৌরগঞ্জ খাল দিয়ে লতাব্দির দিকে যাচ্ছিল। রাত ৮টার দিকে ট্রলারটি লৌহজংয়ের রসকাঠি এলাকায় পৌঁছালে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি পানিতে তলিয়ে যায়। শনিবার রাত থেকেই উদ্ধার অভিযান শুরু করে ডুবরিরা। গত শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি পানির নিজ হতে টেনে তুললেও নিখোঁজের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে নিখোঁজ তুরানের মরদেহ ভেসে উঠেছে।
এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ জনে। মৃতরা হলেন- মোকছেদা বেগম (৪০), হ্যাপি আক্তার (২৮), এপি আক্তার (৩০), পপির দুই ছেলে সাকিবুল (১০), সজিবুল (৪)। হুমায়ারা (৫ মাস), ফারিয়ান (৮) ও তুরান (৮)।
এদিকে ট্রলারডুবির ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আরাকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ব.ম শামীম/আরকে