কোম্পানীগঞ্জে অগ্নিসন্ত্রাস চলছে: কাদের মির্জা
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সিপনের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন মেয়র কাদের মির্জা
কোম্পানীগঞ্জে অগ্নিসন্ত্রাস চলছে বলে দাবি করেছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। শনিবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে অগ্নিসন্ত্রাস চলছে দাবি করে স্ট্যাটাস দেন তিনি।
স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, কোম্পানীগঞ্জে অগ্নিসন্ত্রাস চলছে। অস্ত্রবাজি, সন্ত্রাস, খুন করে আমাকে থামাতে না পেরে এখন পুরো কোম্পানীগঞ্জে চলছে অগ্নিসন্ত্রাস। আমার সঙ্গে থাকা নিরীহ কর্মীদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রাস্তার মাথার গরিব, নিরীহ কর্মী সিপনের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এতে তার পুরো বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমার নিরীহ কর্মীদের মামলা-হামলা-খুন করবে বলে ভয় দেখিয়ে আমার থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চাই তারা। এখানে প্রশাসন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। প্রশাসনের এমন ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মোশাররফ হোসেন সিপন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগুনে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। শুক্রবার (২ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে কে বা কারা আমার ঘরে আগুন দিয়েছে। আমি মেয়রের সমর্থক বলে শত্রুতার জেরে আমার ঘরে আগুন দিয়েছে। আমার প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সিপনের তিনটি টিনশেড ঘর ভস্মীভূত হয়ে যায়। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে স্থানীয় এলাকাবাসী সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন। আগুনের ঘটনায় প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
গত ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি আরও তিনবার মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচনের আগে দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে সারাদেশে আলোচনার জন্ম দেন কাদের মির্জা।
এরপর কাদের মির্জার সঙ্গে তার দলীয় বিরোধী পক্ষের সংঘর্ষে সংবাদিকসহ দুইজন নিহত হন। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে আদালতে। গত বুধবার সাড়ে ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তিনি দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তাছাড়া তিনি আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।
হাসিব আল আমিন/এসপি