খাওয়ার সময় নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহিনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান গুরুতর আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে নাটোর শহরের পচুর হোটেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হওয়া হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম শাহীনসহ আরও দুইজন একই টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছেন। হঠাৎ শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকার যুবলীগ নেতা রাশিদুল ইসলাম কোয়েল ও তার দলবল হোটেলের ভেতরে ঢুকে প্রথমে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনকে চড়-থাপ্পড় মারে এবং পরে নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদকে টেবিলে থাকা কাচের গ্লাস ও প্লেট দিয়ে মাথায় আঘাত করতে থাকে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। 

জানা যায়, যুবলীগ নেতা রাশিদুল ইসলাম কোয়েল স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের অনুসারী। এ ঘটনার পর থেকে শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম আব্দুল কুদ্দুসের দাফন সম্পন্ন করে এসে হোটেলে খেতে বসেছি। হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই কোয়েল ও তার দলবল আমিসহ জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন, নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদসহ তারা কয়েকজন হোটেলে বসে খাচ্ছিলেন। কোনো ধরনের উসকানি ছাড়া জেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী কোয়েল ও তার দলবল তাদের ওপর এই হামলা চালিয়েছে। এতে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মাথায় ১০-১২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, হামলাকারীরা স্থানীয় সংসদ সদস্যের পালিত সন্ত্রাসী। তাদের দলের কোনো পদপদবি নেই। তারা একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেছি। তারা তাৎক্ষণিক রেসপন্স করেছে এবং গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছে। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এ বিষয়ে কথা বলতে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করছি। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

আরএআর