স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ
বগুড়ার কাহালুতে স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে মো. জুয়েল (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে কাহালুর পাইকড় ইউনিয়নের পিড়াপাট গ্রাম থেকে সানজিদা আক্তার ওরফে রুমি নামের ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে দুপুরে পার্শ্ববতী এলাকা সদর উপজেলার নুনগোলা থেকে জুয়েলকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞাপন
মো. জুয়েল কাহালুর পাইকড় ইউনিয়নের পিড়াপাট গ্রামের সাহিদুল ইসলামের ছেলে এবং পেশায় রাজমিস্ত্রী। আর নিহত সানজিদা আক্তার সদর উপজেলার দাঁড়িয়াল গ্রামের সেকেন্দার আলীর মেয়ে।
এ বিষয়ে পাইকড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিটু চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সানজিদা ও জুয়েল একই ঘরে ছিলেন। রাতে গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে নাকি তিনি নিজেই আত্মহত্যা করেছে তা কেউ বলতে পারে না। আজ সকালে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো সানজিদার মরদেহ পাওয়া গেছে। আর সকালে মরদেহ ফেলে স্বামী ও শাশুড়ি পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে পুলিশ জুয়েলকে ধরে নিয়ে আসে। পালিয়ে যাওয়ার কারণে অনেকে সন্দেহ করছেন সানজিদাকে হত্যা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জুয়েলকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাহালু থানা পুলিশের ওসি মাহমুদ হাসান। স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, প্রায় ১০ মাস আগে জুয়েল ও সানজিদার বিয়ে হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বামী-স্ত্রী মিলে ৫০ হাজার টাকার লোন তুলেছিলেন। সেই টাকার কিছু অংশ সানজিদার শাশুড়ি ও স্বামী খরচ করেন। এ নিয়ে রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে আজ সকালে ঘরের ভেতর সানজিদার গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু এর আগেই জুয়েল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।
ওসি আরও বলেন, নিহতের গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। আটকের পর স্বামী জুয়েলের কথার মধ্যে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। আবার পুলিশ আসার আগেই মরদেহ নামিয়ে ফেলা হয়। এসব কারণে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, সকালে সুরতহাল শেষে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সানজিদার পরিবার আজ রাতে মামলার জন্য থানায় আসবে। মামলা হলে জুয়েলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
এমজেইউ