নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন দামে অতিষ্ঠ আসহায় মানুষদের মাঝে একটু স্বস্তি ফেরাতে রংপুরে গরিবের সুপারশপ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ফিতা কেটে সুপারশপে পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুল মান্নান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেরিনা লাভলী, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার ফারুখ আহমেদ প্রমুখ। 

এতে এক কেজি চাল, একটি লাউ, এক কেজি আলু, একটি মিষ্টি কুমড়া, চারটি বিস্কুটের প্যাকেট, এক কেজি লবণ, টিশার্ট, খাতা প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে এক টাকা। এক জোড়া স্যান্ডেল, এক কেজি মসুরের ডাল প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে দুই টাকা। এক কেজি চিনি ও আটার প্যাকেট প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে তিন টাকা।

একটি লুঙ্গি, একটি স্কুলের ব্যাগ, এক লিটার তেল প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে চার টাকা। একটি ব্রয়লার মুরগি, একটি মাছ প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে পাঁচ টাকা। ১৮টি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে সাজানো সুপারশপে নির্বাচিত আড়াই শ জন অসচ্ছল মানুষ প্রত্যেকে ১০ টাকা সমমূল্যের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পেরেছেন।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার ফারুখ আহমেদ বলেন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ২০১৩ সাল থেকে পিছিয়ে থাকা মানুষদের নিয়ে কাজ করছেন। করোনার পর থেকে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের হতদরিদ্র ও বয়স্ক মানুষের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। সুপারশপে একজন হতদরিদ্র মানুষ ১০ টাকার টোকেন মানি দিয়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার ব্যাগভর্তি বাজার করেছেন। যা তাদের খাদ্যসহ আমিষের চাহিদা মেটাবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুল মান্নান বলেন, আমি এই চমৎকার উদ্যোগ রংপুরে বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সরকার নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে টিসিবি ও ওএমএসের মাধ্যমে চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দিচ্ছে। এর পাশাপাশি বিত্তবান ও বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে আসলে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গঠনে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাব।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর