উপজেলা প্রশাসনকে দুষলেন কাদের মির্জা
আইসোলেশন সেন্টারে এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন থাকছেন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে করোনা সংক্রমণ রোধে নির্মিত অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার ভেঙে ফেলার অভিযোগে উপজেলা প্রশাসনকে দুষলেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এ বিষয়ে সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।
স্টাটাসে তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমার করা আইসোলেশন সেন্টার ভেঙে দিয়ে কিছু বিপথগামী অস্ত্রধারীদের মিটিং করার সুযোগ করে দেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন চলছে। লকডাউন কার্যকর করতে বসুরহাট পৌরসভা বাজারে কার্যক্রম পরিচালনা করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য লকডাউন কার্যকর করতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী প্রশাসন ও কোম্পানীগঞ্জ থানার কোনো লোককে রাস্তায় দেখা যায়নি।
আইসোলেশন সেন্টার ভেঙে ফেলার বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল হক মীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আইসোলেশন সেন্টারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আবার যদি আইসোলেশন সেন্টার করার অনুমতি দেয় তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঊর্ধ্বতন প্রশাসন যা ভাল মনে করেছেন তাই করেছেন। জরুরি প্রয়োজনে আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ জুন কোম্পানীগঞ্জে করোনা সংক্রমণ রোধে নির্মিত হয়েছিল অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার। যার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। প্রাথমিকভাবে ১১ শয্যা বিশিষ্ট এ আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে রোগীর সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে পর্যায়ক্রমে এ আইসোলেশন সেন্টারকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা ছিল।
এদিকে নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় দুইটি ল্যাবে ৬৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা গত ৬ মাসের রেকর্ড ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২০৬ জনে। যার মধ্যে নতুন আক্রান্ত শতকরা ৮.৯৯ ভাগ।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলায় নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদরের ৩২ জন, সূবর্ণচরের একজন, হাতিয়ার ৩ জন, বেগমগঞ্জের ৩৯ জন, সোনাইমুড়ির ৭ জন, চাটখিলের ২ জন, সেনবাগের ৩ জন, কোম্পানীগঞ্জের ১৫ জন এবং কবিরহাটের ৯ জন রয়েছেন।
হাসিব আল আমিন/এসপি