সব হারিয়ে নিষ্পলক তাকিয়ে আছেন ক্ষতিগ্রস্ত একজন

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নে আগুনে পুড়ে ৯টি পরিবারের ২২টি ঘড়বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রোববার (৪ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের চমেশ্বরী গ্রামে আবদুল হাইয়ের বাসার রান্নাঘর থেকে এই আগুনের ঘটনাটি ঘটে।

সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন।

এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ইতিমধ্যে শুকনা খাবার ও কম্বল দিয়েছেন তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের স্বজনেরা বলেন, তারা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ করেই আবদুল হাইয়ের বাসার রান্নাঘর থেকে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনটি ছড়িয়ে গিয়ে সবার বাসায় লেগে যায়। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর মধ্যেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।

ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনা খাবার দিচ্ছেন ইউএনও

ক্ষতিগ্রস্ত শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাতে চাচাতো ভাই আবদুল হাইয়ের বাসার রান্নাঘর থেকে আগুন লাগে। খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে আমাদের সবার বাড়িতে লাগে। আগুনে ঘরে থাকা প্রতিটি জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। শুধু গরু-ছাগল ছাড়া কোনো কিছু রক্ষা করতে পারিনি। আজ আমরা সবাই খোলা আকাশের নিচে বসে আছি। একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি। আগুনে পুড়ে আমাদের প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার সিং ঢাকা পোস্টকে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে দেওয়া হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সদর ইউএনও আবদুল্লাহ মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের মাঝে কিছু শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

মো. নাহিদ রেজা/এনএ