১৩ বছর আগের ডাকাতির মামলায় ১২ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নিধিকুণ্ডু গ্রামে ডাকাতি মামলায় ১২ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৩ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ১১ আসামির উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় দেন।
বিজ্ঞাপন
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খাঁপুরন্দপুর গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা, চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার নিধিকুণ্ডু গ্রামের ছোট আলীর ছেলে কবির হোসেন, একই উপজেলার করচাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সোলেমান হক, মেহের আলীর ছেলে বকুল মিয়া, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন, করচাডাঙ্গা গ্রামের মেহের আলীর ছেলে রহম আলী, হযরত আলীর ছেলে আরজ আলী, আখের আলীর ছেলে ফারুক হোসেন, খালেক মিয়ার ছেলে বকুল মিয়া, সীর মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী, আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল হান্নান, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের জুলফিকার আলীর ছেলে তবি মিয়া। এদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল হান্নান পলাতক রয়েছেন। এছাড়া ফরজ নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মামলা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল রাতে চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার নিধিকুণ্ডু গ্রামের নুরুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাণ্ডব চালায় অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনের ডাকাত দল। এ সময় তারা স্টিলের বাক্স থেকে নগদ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা, একজোড়া স্বর্ণের দুল লুট করে। এছাড়া নুরুল ইসলামের বাড়ির পাশেই চাচাতো ভাই কবির হোসেনের বাড়ির পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ ৭ হাজার ৩০০ টাকা ডাকাতি করে। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মহব্বত আলী ২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল ১৭ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
পরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর পর ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ওই রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
আফজালুল হক/এএএ