ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ‘নৌকার লোক’ বলে কটাক্ষের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতা হোসেনকে (৩১) মারধর ও গুলির ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুককে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার যুবলীগ কর্মীর বাবা মো. জামাল উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওমর ফারুকসহ আরও ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঢাকা পোস্টকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চরজব্বর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর বাবা জামাল উদ্দিন মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুককে এক নম্বর আসামি করে মোট ১০ জনের নাম উল্লেখ করেন। আমরা বাদীর অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের চেউয়াখালী বাজারে যুবলীগ নেতা হোসেনকে (৩১) মারধর ও গুলির ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে এলাকাবাসী।

আহত হোসেনের পিতা জামাল উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট করেছিল। সে পেশায় ট্রাকচালক। গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে চেউয়াখালী বাজারে এলে কিশোর গ্যাং লিডার রাশেদ ও তার সহযোগীরা আমার ছেলেকে মারধর করে দোকানে আটক করে রাখে। তারপর ফারুক চেয়ারম্যান এসে পিস্তল ঠেকিয়ে তার গাড়িতে করে মান্নান নগরের তার বাগান বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তার দুই পায়ে গুলি করে এবং তারকাটা ঢুকিয়ে দেয়। তারপর চকিদার দিয়ে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। আমার ছেলে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে, আওয়ামী লীগ করা কি অপরাধ? আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর কাছে বিচার চাই।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মানিক বলেন, চেয়ারম্যান সব সময় বিএনপির নেতাকর্মী নিয়ে চলাফেরা করেন। তার ইউনিয়ন অফিসে বিএনপির লোকজন তার পাশে থাকে। তিনি আমাদের দেখতে পারেন না। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করছি।

আরও পড়ুন : ‘নৌকার লোক’ বলে কটাক্ষ, প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতাকে মারধর ও গুলি 

এর আগে গত বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে যুবলীগ নেতাকে গুলি করার কথা অস্বীকার করেন চর জব্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি চক্র। প্রকৃতপক্ষে আমি হোসেন নামক ওই যুবককে চিনি না। কখনও দেখিনি। চুরির অভিযোগে স্থানীয়রা তাকে আটক করে আমাকে খবর দিলে আমি চৌকিদার পাঠিয়ে তাকে হাসপাতাল পাঠানোর ব্যবস্থা করি।

হাসিব আল আমিন/এএএ