বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ডু অর ডাই। হয় বাঁচব, না হয় মরে যাব। লক্ষ্য একটাই শেখ হাসিনা সরকারের পতন।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীতে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
দেশের অর্থনীতি নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে অর্থনৈতিক ধস নেমেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মানুষ মানুষের মাথা খাবে। 

তিনি বলেন, দেশে সকল দলের অংশগ্রহণে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চায় সারা বিশ্ব। নির্বাচনে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কে সরকার হবে। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কাকে সরকার বানাবে। বাংলাদেশের মানুষ এখন আর শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে না। কারণ বাংলাদেশের ১৫ লাখ কোটি টাকা পাচার হইছে। শেখ হাসিনার সাথে যারা আছে তারা এসব পাচার করেছে।

মহানগর বিএন‌পির সভাপ‌তি শওকত হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম রনির সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ।

এছাড়াও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বেনজির আহমেদ টিটু, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার, ডা. মাজহারুল আলম, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহ্ উদ্দিন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এক দফার আন্দোলনে শুরু হয়েছে। এক দফা বলতে- শেখ হাসিনার পতন, স্বৈরাচারীর পতন, নিরপেক্ষ সরকারের প্রবর্তন, নির্বাচন কমিশন বাতিল, খালেদা জিয়ার মুক্তি। ভোট চোরের দিন শেষ, জনগণের বাংলাদেশ।

সেলফি দিয়ে কাজ হবে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি সেলফি দেখে খুশি হইছি। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী কত কষ্ট করে ছবি উঠাইতে হইছে। একটা দল কত দেওলিয়া হইলে সেলফি উঠাতে হয়।

এদিকে সমাবেশ ঘিরে দুপুরের আগে থেকেই গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। দুপুর দেড়টার দিকে শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই নেতাকর্মীরা ব্যানার, প্ল্যাকার্ডসহ সরকার বিরোধী নানা ধরনের স্লোগানে দিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। ২টার দিকে প্রধান অতিথি সমাবেশস্থলে আসলে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।

শিহাব খান/আরএআর