মাদারীপুরের কালকিনিতে শিক্ষকের স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে মাদ্রাসায় অবস্থান নিয়েছেন এক নারী। রোববার (১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ডিক্রিরচর ফাজিল (বিএ) মাদ্রাসায় অবস্থান নেন তিনি। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

ওই নারীর অভিযোগ, উপজেলার ডিক্রিরচর ফাজিল (বিএ) মাদ্রাসার প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে অনার্সে পড়ার সময় তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে প্রায় সাত বছর আগে শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের এক পরিচিত লোকের মাধ্যমে কাবিননামা তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেন। কিন্তু হঠাৎ করে ওই শিক্ষক তার কোনো খোজঁখবর রাখেন না এবং তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছেন না। 

স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে ওই নারী মোস্তাফিজুর রহমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে তার বেতন বন্ধ করে দেয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়াও মোস্তাফিজুর রহমানকে পুনরায় কাবিন করে ওই নারীকে বিয়ের জন্য নির্দেশনা দেয়।এতে মোস্তাফিজুর রহমান কর্ণপাত না করায় ওই নারী এখন বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। 

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, সরলতার সুযোগ নিয়ে মোস্তাফিজ আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আমি স্ত্রীর স্বীকৃতি চাই। মোস্তাফিজ এর আগেও বেশ কয়েকটি বিয়ে করেছে।

অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি এর আগেও কয়েকটি বিয়ে করেছি। ওর যা মন চায় করুক। আমি কাউকে ভয় পাই না।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. ফজলুর রহমান বলেন, আমরা ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তবে এই বিষয়টি উভয়পক্ষের লোকজন নিয়ে বসে সমাধানের জন্য সভাপতি নির্দেশনা দিয়েছেন। 

ডিক্রিরচর ফাজিল (বিএ) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এনামুল বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা কয়েক বার বসেছিলাম।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম বলেন, এতবড় অপরাধ করেও শিক্ষক কি করে পার পাওয়ার চিন্তা করে। এটা আসলে একটা দুঃখজনক ঘটনা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকি সাহা বলেন, বিষয়টি নিয়ে ওই মাদ্রাসার সভাপতির সঙ্গে আমি কথা বলবো।

রাকিব হাসান/আরএআর