বিজিপি সদর দপ্তরে হামলাকারী নোমান বাংলাদেশে গ্রেপ্তার
২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর মংডুতে অবস্থিত মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদর দপ্তরে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও হামলাকারী মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) উখিয়ার কুতুপালং থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমেরিকা প্রবাসী বাবার মাধ্যমে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহর সঙ্গে পরিচয় হয় মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরীর। আরসার হয়ে দীর্ঘদিন সক্রিয়ভাবে কাজ করার ফলস্বরূপ আতাউল্লাহ তাকে তার একান্ত সহকারী ও সার্বক্ষণিক অস্ত্রধারী বডিগার্ড হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি (মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান) হুন্ডির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আরসার জন্য পাঠানো অর্থের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতেন এবং প্রাপ্ত অর্থ আরসার বিভিন্ন ক্যাম্প কমান্ডারদের মাঝে পৌঁছে দিতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। এছাড়া তিনি আরসার জন্য ইউনিফর্ম, ওষুধ, ওয়াকিটকি, ল্যান্ড মাইন এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি কেনাকাটা করতেন বলেও জানান। আরসাপ্রধান আতাউল্লাহর নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার কথাও জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরী।
র্যাব অধিনায়ক আরও জানান, ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর গোয়েন্দা সংস্থা এবং র্যাবের মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ অভিযানের সময় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলায় অভিযানে থাকা রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশনী মারা যান এবং র্যাবের সদস্য কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়া গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার সঙ্গেও সরাসরি যুক্ত ছিলেন নেমান চৌধুরী। এছাড়া ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর বিজিপির মংডু অঞ্চলের সদর দপ্তরে হামলা করে অস্ত্র লুট ও ১৪ জন জওয়ান হত্যার ঘটনায় অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও সরাসরি হামলায় অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সাইদুল ফরহাদ/এমজেইউ