রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৯ জন। একই সময়ে রংপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে। বর্তমানে বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন হাসপাতালসহ বাসায় ১২৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে ১৪, গাইবান্ধায় ১২, কুড়িগ্রামে ৫, নীলফামারীতে ২, লালমনিরহাটে ৪, দিনাজপুরে ১০ এবং ঠাকুরগাঁওয়ের ২ জন রয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে আরও ৫২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।

বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বাসায় চিকিৎসাধীন ৩৪ জন, গাইবান্ধায় ২৯, কুড়িগ্রামে ১১, নীলফামারীতে ১১, দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীনসহ জেলায় ২৪, লালমনিরহাটে ৭, ঠাকুরগাঁওয়ে ৭ এবং পঞ্চগড় জেলায় ২ জনসহ পুরো বিভাগে মোট ১২৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রংপুরে ৩৪ এবং গাইবান্ধায় ২৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুতে রংপুর ও গাইবান্ধায় বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তবে হাসপাতালগুলোতে রোগীর খুব বেশি চাপ নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ বছরের শুরু থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আট জেলায় ৪ হাজার ৯৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুরে পাঁচজন, দিনাজপুরে তিনজন এবং গাইবান্ধায় একজন মারা গেছেন। আর ৩ হাজার ৯৬০ জন রোগীকে সুস্থতার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন পর্যন্ত যারা ভর্তি রয়েছে তাদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড রয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। ডেঙ্গু রোগী শনাক্তে কীট সংকট নেই।

এদিকে মশক নিধনের বিষয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহবুবার রহমান মঞ্জু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা মহানগরকে তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত করে মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছি। এছাড়া মানুষকে সচেতন করতেও আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ