নিহত রহিমা আক্তার সুমি

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে তালাবদ্ধ ভাড়া বাসা থেকে মোসা. রহিমা আক্তার সুমি (১৮) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর তার স্বামী পলাতক রয়েছে। তবে স্বামীর নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে সোনাইমুড়ী পৌরসভার দুশ্চিমপাড়ার গনি মাস্টারের পুল মিয়া বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

নিহত মোসা. রহিমা আক্তার সুমি চাটখিল উপজেলার রামনারায়ণপুর ইউনিয়নের উত্তর রামনারায়ণপুর  গ্রামের মো. ইলিয়াস হোসেনের মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামীসহ সোনাইমুড়ী পৌরসভার দুশ্চিমপাড়া এলাকার গনি মাস্টারের পুল মিয়া বাড়ির মো. রাব্বানীর টিনশেড বাসায় থাকতেন সুমি। বেশ কিছুদিন ধরে সুমির সঙ্গে পরিবারের লোকজনের যোগাযোগ না করতে পারায় ভাড়া বাসায় আসেন তার ভাই আরাফাত। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে বাসায় তালাবদ্ধ এবং ভেতরে পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশকে জানান তিনি। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। 

নিহতের ভাই আরাফাত ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত এপ্রিলে প্রেমের সম্পর্ক করে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে যায় রহিমা। তারপর সে কুমিল্লায় স্বামীসহ ভালো আছে বলে আমাদের জানায়। ৫ মাস আগে ওই ছেলেকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে সুমি। আমার পরিবার তাদের মেনে নেয়। তবে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে পরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়েতে ছেলের ছোট ভাইসহ তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। তারপর থেকে আমার বোন স্বামীসহ কুমিল্লার ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করে। কিছু দিন আগে আমার বোনকে তার স্বামী আমাদের বাড়িতে রেখে যায়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর মো. রাব্বানীর টিনশেড বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। দুই দিন ধরে আমার বোনের খবর না পেয়ে ভাড়া বাসায় এসে পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশকে জানাই।

সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা তদন্তের স্বার্থে স্বামীর নাম গোপন রাখছি। মরদেহ অনেকটা পচে যাওয়ায় ধারণা করছি ৩ অক্টোবর সুমিকে মারার পর তার স্বামী বাসা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে গেছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

হাসিব আল আমিন/আরএআর