রাজবাড়ী জেলায় বিভিন্ন সময়ে হারানো বা চুরি যাওয়া ৪৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ।

জানা গেছে, রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন থানায় প্রতিদিন মোবাইল হারানোর জিডি হয়। জিডি নিয়ে নিয়মিত কাজ করে জেলা পুলিশের একটি চৌকস টিম। সেই জিডিগুলোর প্রেক্ষিতে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল উক্ত হারানো অথবা চুরি যাওয়া মোবাইলগুলো উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে।

মোবাইল ফোন ফেরত পেয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, আমার মোবাইল ফোনটি হারিয়ে গেলে আমি থানায় জিডি করি। ভেবেছিলাম জিডি পর্যন্তই শেষ। ফোনটি ফিরে পাবো আশা করিনি। কিন্তু হঠাৎ গতকাল পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে আমাকে ফোন দিয়ে জানায় যে আমার হারানো মোবাইলটি তারা উদ্ধার করেছে। আজ হারানো মোবাইলটি হাতে পেয়েছি। খুব ভালো লাগছে। জেলা পুলিশকে অনেক ধন্যবাদ।

ফোন ফেরত পেয়ে আরিফ বলেন, আমার দুটি মোবাইল হারিয়ে গিয়েছিল। একটা দেড় বছর আগে, আরেকটি ৬ মাস আগে। আমি গোয়ালন্দ ঘাট থানায় জিডি করেছিলাম কিন্তু তারা তেমন তৎপরতা দেখায়নি। পরে আমি ফেসবুকে রাজবাড়ী হেল্পলাইন নামে একটি পেজে স্ট্যাটাস দিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম স্যার আমাকে জিডির কপিটি তাকে ইনবক্স করতে বলে। পরে আমি তাকে জিডির কপিটি দিলে সে আমার হারিয়ে যাওয়া দুটি মোবাইল উদ্ধার করে দেয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম স্যার ও জেলা পুলিশের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. রেজাউল করিম বলেন, মোবাইল উদ্ধারের কাজটি প্রথমে দায়িত্ব থেকেই করতাম। এখন আসলে আমার নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কেউ আমাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ম্যাসেঞ্জারে নক দিয়ে জিডির কপি দিলে তার হারানো মোবাইল উদ্ধার করে তাকে ফেরত দেওয়া হয়।পুলিশের রুটিন দায়িত্বের পাশাপাশি এ কাজটি করতে ভালো লাগে। এ কাজটি সব সময়ই করে যেতে চাই।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত এ কাজটি করতে পেরে। হারানো কোনো কিছু ফিরে পেলে মানুষ যে আনন্দ পায় এটাই আমাদের প্রাপ্তি এবং আমাদের সাফল্য। রাজবাড়ী জেলার জনগণকে বলব, যে কোনো প্রয়োজনে পুলিশ আছে আপনাদের পাশে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. সালাহউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো.রেজাউল করিমসহ জেলা পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মীর সামসুজ্জামান/এমএএস