লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন প্রয়াত সংসদ সদস্য (এমপি) একেএম শাহজাহান কামালের ছেলে ফাহিম কামাল চৌধুরী উপল। শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে তিনি এ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। 

এ সময় তার সঙ্গে সদরের লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুরাদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি পাবেল আজিম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশান উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে এ আসন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সাত্তার, সজিব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এমএ হাশেম এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য অ্যাডভোকেট শওকত হায়াতসহ ১৩ জন দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

ফাহিম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও প্রয়াত সংসদ সদস্য শাহজাহান কামালের একমাত্র ছেলে।

বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে ফাহিম কামাল চৌধুরী উপল বলেন, মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর পূরণ করে জমা দেওয়া হয়েছে। আশা করি আমার বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো পূরণের লক্ষ্যে দল থেকে আমাকে মূল্যায়ন করা হবে।

জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত রোগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহজাহান কামাল মারা যান। তার মৃত্যুতে ৪ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। আগামী ৫ নভেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ১৯৬৬ সালের ৬ দফা ও ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে শাহজাহান কামাল সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৭২ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১১ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার ও ২০১৮ সালে তৃতীয়বারের মতো তিনি লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ২০১৮ সালে প্রায় এক বছর তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ও জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতিও ছিলেন।

হাসান মাহমুদ শাকিল/আরএআর