কিশোরকে হত্যার পর ৮ হাজার টাকায় অটোরিকশা বিক্রি করে তিন বন্ধু
গ্রেপ্তারকৃত মেহের চাঁন হাওলাদার
পিরোজপুর সদর উপজেলার কিশোর ফেরদৌস শেখ অনিক (১৩) হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। হত্যায় জড়িত তিন কিশোরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- পিরোজপুর পৌর শহরের তালুকদার পাড়া এলাকার জামাল মোল্লার ছেলে হাফিজ মোল্লা (১৭), মধ্যরাস্তা এলাকার কালাম মোল্লার ছেলে আবিদ মোল্লা (১৪), হানিফ শেখের ছেলে শাহিন শেখ (১৭) এবং বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের মহিষপুড়া এলাকার আবুল কালাম হাওলাদারের ছেলে মেহের চাঁন হাওলাদার (২৩)।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া এলাকা থেকে অটোরিকশাচালক ফেরদৌস শেখ অনিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই নিহতের মা লাকি বেগম বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
জেলা গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, সোমবার (৯ অক্টোবর) অটোরিকশাটি ছিনতাই করার জন্য পূর্বপরিচিত তিন বন্ধু অনিকের অটোরিকশায় উঠে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে। সন্ধ্যার কিছু সময় পর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া এলাকায় গিয়ে পিরোজপুর-নাজিরপুর-ঢাকা সড়কের পার্শ্ববর্তী একটি সড়কে নিয়ে অনিককে গলা চেপে হত্যা করে রিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর পিরোজপুর শহরের পার্শ্ববর্তী জেলা বাগেরহাটের হোগলাপাশা ইউনিয়নের মহিষপুড়া এলাকার পুরাতন মালামাল ক্রয়কারী মেহের চাঁন হাওলাদারের কাছে আট হাজার টাকায় অটোরিকশাটি বিক্রি করে দেন। মেহেরচাঁন রিকশাটি চোরাই বিধায় তার পেছনের নাম লেখা অংশটি নদীতে ফেলে দেন। তবে অনিকের মরদেহ উদ্ধারের পরপরই পুলিশ এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করে। পুলিশ তিন দিনের ব্যবধানে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের পিরোজপুর, বাগেরহাট ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজেইউ