সিলেটে জোড়া খুনের মামলায় ৩ জনের ফাঁসি, দুজনের যাবজ্জীবন
সিলেটে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নূরে আলম ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জুবায়ের বখত বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-সিলেটের গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের নয়াগাও চারমাইল মানিক মিয়ার ছেলে ও নগরের সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিপন আহমদ, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ কসবা এলাকার মৃত শমসির মিয়ার ছেলে ও সিলেট নগরের বাগবাড়ি নরশিংটিলা এলাকার বাসিন্দা দুলাল মিয়া এবং সিলেট নগরের উপকন্ঠ গোয়াবাড়ি এলাকার ভোলা মিয়ার ছেলে ও নগরের কাজলশাহ রমিজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া উজ্জ্বল। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শিপন মিয়াকে আরেকটি ধারায় আরও ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেট নগরের কানিশাইল এলাকার মাসুক মিয়ার ছেলে বর্তমানে কাজিরবাজার এলাকার বাসিন্দা নজরুল এবং সিলেটের গোলাপগঞ্জের পূর্ব ফুলসাইন্দ বারজানটিলার শফিক উদ্দিনের ছেলে শাকিল আহমেদ। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি এই দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় খাদিমনগর বিসিক শিল্পনগরীর বনফুলের ফ্যাক্টরি থেকে বাসায় ফেরার পথে রাজু আহমদ (১৯), এস এম তাপু মিয়া (৩৫) ও রাসেল আহমদকে (২৩) দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ফেলে যায়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজু আহমদ ও তাপু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত রাজু আহমদের বড় ভাই চাঁদপুর হাজীগঞ্জের হারুনুর রশিদের ছেলে মাসুদ পারভেজ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
মাসুদ আহমদ রনি/এমজেইউ