তৈরির তিন বছরেই ভেঙে পড়েছে আয়রন ব্রিজ, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা খালের ওপর তৈরি করা আয়রন ব্রিটি ভেঙে পড়ার পর এখনও মেরামত করা হয়নি। দীর্ঘদিনেও ব্রিজটি মেরামত না হওয়ায় এলাকাবাসী ওই খালের ওপর ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্লাস্টিকের ড্রাম ব্যবহার করে ভাসমান ব্রিজ তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বলছে, পাখিমারা খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য তারা তথ্য উপাত্ত সংগ্রহসহ এলজিইডির কোনো একটি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ করছে।
এলাকার কৃষক রফিক গাজী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সবজি বাজারজাত করা যায়। নিজেরা টাকা দিয়ে ড্রাম বসিয়ে ব্রিজ বানালেও সেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ মাথায় করে বস্তা অথবা হাজীতে করে কৃষি মালামাল নিয়ে এই খাল পার করতে হয়। ট্রাক বা কোনো যানবাহন এই ড্রামের ওপর দিয়ে চলাচল করতে পারে না। আমাদের নীলগঞ্জ ইউনিয়নের একটাই দাবি এই পাখিমারা ব্রিজটি যেন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে করা হয়।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় আরেক কৃষক জাকির গাজী বলেন, ২০১৫ সালের প্রথম দিকে স্টিলের কাঠামো দিয়ে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ খালের ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করে। তবে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি ব্রিজটি পুরোপুরি ভেঙে খালে পড়ে যায়। এরপর আমরা স্থানীয়রা ৬৭টি প্লাস্টিকের ড্রাম দিয়ে ভাসমান একটি ব্রিজ নির্মাণ করি। ব্রিজটি তৈরি করতে আমাদের ওই সময় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। বর্তমানে আমরা স্থানীয়রা চাঁদা তুলে মাঝে মধ্যে এটি মেরামত করছি। তবে এখন ভাসমান ব্রিজটি দিয়ে চলাচল একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী) আসনের সংসদ সদস্য মহিববুর রহমান মহিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুত সময়ে মধ্যে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের জন্য দুটি প্রকল্পে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের পিডি স্যার ইতোমধ্যে এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ব্রিজটির ফিজিবিলিটি স্টাডি এন্ড ডিজাইন সার্কেলও সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ লতিফ হোসেন বলেন, গুরুত্ব বিবেচনা করে ব্রিজটি নির্মাণের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্পে এটিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ব্রিজটি যাতে করে কোনো একটি প্রকল্পের ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায় সেই বিষয়ে আমরা যোগাযোগ করছি।
মাহমুদ হাসান রায়হান/এমএএস