অন্য সবার মত সন্ধ্যায় পূজো দেখ‌তে যায় উকিলা রায় ও তার প‌রিবার। পূজা দেখা শেষে রা‌তে বা‌ড়ি ফিরে তারা দেখেন তার বাড়িঘর সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। চুলা থেকে সৃষ্ট আগুনে তাদের বাড়িসহ আশপাশের প্রতিবেশীর প্রায় ১৮টি ঘর পুড়ে গেছে। শুধু পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই তাদের।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ৭টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার ধর্মপুর গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

উ‌কিলা রায় বলেন, আমাদের মতো প্রতিবেশীরাও গতকাল পূজা দেখার জন্য সন্ধ্যায় বের হয়েছিল। কিন্তু বাসায় যখন আসি তখন দেখি আমাদের বাড়ির আর অবশিষ্ট কিছুই নেই। 

জানা যায়, এ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় সাতটি পরিবারের প্রায় ১৮টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তারা ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারেনি। যখন আগুনে তাদের ঘর পুড়ছিল, ঠিক সেই সময়ে তারা সবাই পূজা মণ্ডপে ছিল। আগুনে প্রায় ৭টি পরিবারের ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, সন্ধ্যার পরে হঠাৎ করে ধর্মপুর গ্রামের কুড়ালী পাড়ায় রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুন লেগে তা ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হয়। এক পর্যায়ে আগুন ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকার সাতটি পরিবারের প্রায় ১৮টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরনের কাপড় ছাড়া তাদের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। 

২১ নং ঢোলার হার্ট ইউপি চেয়ারম্যান ওকিল রায় বলেন, রাতে আমি জানতে পারি আমার ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের ৭টি পরিবারের ঘর আগুনে পুড়ে যায়।তাৎক্ষণিক আমি সেখানে যায়। পরে সদর উপজেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে শুকনো খাবার ও কম্বল দেওয়া হয়।
 
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা বেলায়েত হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে শুকনা খাদ্য এবং শীতের কম্বল দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আবেদন করে তাদের ক্ষতিপূরণের চেষ্টা করব।

আরিফ হাসান/আরকে