মামলার আপসে রাজি না হওয়ায় খুন হন অটোচালক নাজমুল
ধর্ষণ মামলায় আপস না করায় বগুড়ার গাবতলীর সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক নাজমুলকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় রকি (৩৪) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তারের পর এমন দাবি করেছে বগুড়া র্যাব-১২।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে এ কথা জানান বগুড়া র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে কাহালু উপজেলার মালঞ্চা এলাকা থেকে রকি নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রকি গাবতলী উপজেলা হাতিবান্দা গ্রামের মো. হারুনের ছেলে। এছাড়া তিনি নিহত নাজমুলের ফুফাতো ভাই সোহেলের মেয়েকে ধর্ষণ মামলার আসামি।
বিজ্ঞাপন
র্যাব কমান্ডার বলেন, নাজমুলকে হত্যার পর তার স্ত্রী গাবতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই এজাহারে উল্লেখ আছে, প্রায় এক বছর আগে তার ফুফাতো ভাই সোহেলের মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়। ওই মামলার কাজে নাজমুল বিভিন্ন সময়ে তার ভাই সোহেলকে অটোরিকশায় করে বগুড়ার আদালতে আনা-নেওয়া করতেন। এ কারণে ধর্ষণ মামলার আসামি উজ্জল ও রকিদের নজরে পড়েন নাজমুল।
তারা নাজমুলকে মামলাটি আপস-মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। একইসঙ্গে তাদের কথায় রাজি না হলে নাজমুলকে খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল। হুমকির কারণে নাজমুল মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং প্রায় তিন মাস ধরে অটোরিকশা চালানো বন্ধ রাখেন।
মামলার পর র্যাব এ ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাহালুর মালঞ্চা এলাকা থেকে রকিকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা।
কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, নাজমুলকে গুম করার উদ্দেশেই এই হত্যাকাণ্ডটি চালানো হয়েছে। গ্রেপ্তার রকিকে গাবতলী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে ধান খেত থেকে নাজমুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর দু’দিন আগে থেকে নাজমুল নিখোঁজ ছিলেন।
এসএসএইচ