আগামীকাল রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি। শনিবার (২৮ অক্টোবর) এ ঘোষণার পরপরই ফেনীর বাস কাউন্টারে ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী কর্মজীবী যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। 

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, মহিপালে ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী বাস কাউন্টারগুলোতে টিকিটের জন্য ভিড় করছেন যাত্রীরা। এদের বেশিরভাগ কর্মজীবী। যারা ছুটি কাটাতে বাড়িতে এসে হরতালের খবরে আবার ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে আবার দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ার শঙ্কায় কাজ করতে এসে আবার পরিবারের কাছে ফিরছে।

রাজধানীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাইদুল ইসলাম নামে এক যাত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, কাল বিকেলে ফেরার কথা থাকলেও হরতালের খবর শুনে এখন রওনা হচ্ছি। কাউন্টারে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেশি। কাল গাড়ি চলবে কি না তা নিশ্চিত না, সেজন্যই ফিরতে হচ্ছে। 

মজিবুল হক নামে আরেক যাত্রী বলেন, কাজের জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে ফেনী আসছিলাম। হরতাল যদি টানা চলে সেই ভয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যাচ্ছি। বাসের যাত্রী বেশি হলেও ভাড়া এখনো স্বাভাবিক আছে। 

মাজহারুল জিসান নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, সারা দিন ঢাকা শহরে রাজনৈতিক কর্মসূচির আতঙ্কে যাইনি। সকালে অফিস করতে হবে। এজন্য এখন ফিরতে হচ্ছে। 

ঢাকা রুটে চলাচলরত স্টার লাইন পরিবহনের মহিপাল কাউন্টারের সহকারী ইনচার্জ আবদুর রহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে যাত্রী কম থাকলেও হরতালের ঘোষণার পরপর যাত্রী বেড়েছে। বিকেল থেকে চাকরীজীবী আর জরুরি কাজে ঢাকা যাচ্ছে এমন যাত্রী বেশি। এছাড়া বাস চলাচল বন্ধের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। 

বিপুল এন্টারপ্রাইজের কাউন্টারে দায়িত্বরত জাহিদ হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, হরতাল ঘোষণার পর যাত্রী বেড়েছে। ভাড়া আগের মতোই নিচ্ছি। তবে আগামীকাল সড়কে গাড়ি চলাচলের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। 

তারেক চৌধুরী/আরএআর