যাত্রী সংকটে কিশোরগঞ্জে বাস চলছে না
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে কিশোরগঞ্জ গাইটাল বাসস্ট্যান্ড থেকে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে ঢাকা থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে আসেনি একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে আন্তঃজেলা বাস চলাচল।
কিশোরগঞ্জ গাইটাল আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দোকানপাট খুলতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী না থাকায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দোকানপাটে বেচাকেনা তেমন চোখে পড়েনি।
বিজ্ঞাপন
বাসস্ট্যান্ড এলাকায় টং দোকানের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, যাত্রী না থাকার কারণে বেচাকেনা নেই। হরতালের কারণে যাত্রীরা না আসায় বেচাকেনা একপ্রকার বন্ধ রয়েছে। দোকান খুলে বসে আছি। কোনো খরিদদার নেই।
বিজ্ঞাপন
কথা হয় গাইটাল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, গাড়ি চললে ঢাকার অনেক যাত্রী পাই। হরতালের কারণে তেমন যাত্রী নেই। প্রতিদিন অটোরিকশার জমা আছে ৬০০ টাকা। এ টাকা কেমনে দিবো সে চিন্তায় আছি।
এমকে সুপার পরিবহনের চালক বাদশা মিয়া বলেন, ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে যদি গাড়ির কোনো ক্ষতি হয় তাহলে এর দায় কে নিবে। এজন্য আজকে গাড়ি বাইরে বের করিনি। জীবনেরও তো একটা ঝুঁকি আছে। হরতাল শেষ হলে গাড়ি বের করবো।
যাতায়াত পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. গোলাপ মিয়া বলেন, বাস বন্ধের কোনো নির্দেশনা নেই। মালিক সমিতি এবং পরিবহন সমিতি থেকে গাড়ি চালানোর নির্দেশনা আছে। কিন্তু আমরা যাত্রী সংকটে বাস ছাড়তে পারিনি।
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন মানিক জানান, গতকাল কয়েক জায়গায় বাসে আগুন দিয়েছে। ডেমরা এক হেলপারে গায়ে আগুন দিয়েছে সেজন্য আমরা বাস বন্ধ রেখেছি। এই অবস্থায় আমরা কীভাবে বাস চালাবো কোনো ক্ষয়ক্ষতি হলে এই দায় কে নেবে?
মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/এএএ