স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও অরক্ষিত গণকবর
প্রতীকী ছবি
৮ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার পটুয়াখালীমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় পটুয়াখালী জেলা। স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর হাতে শহীদদের গণকবরসহ স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো আজও রয়েছে অরক্ষিত।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল পাকবাহিনীর হাতে আক্রান্ত হয় পটুয়াখালী। নির্বিচারে চলে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ। সেপ্টেম্বর মাসে জেলায় প্রথম প্রতিরোধ হয় সদর উপজেলার মাদারবুনিয়ায়।
বিজ্ঞাপন
অক্টেবরে বাউফল উপজেলায় কালিশুরির চাদকাঠিতে পাকহানাদারের ওপর আক্রমণ করে মুক্তিবাহিনী। ১৮ নভেম্বর জেলায় পাকহানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর সব থেকে বড় সম্মুখ যুদ্ধ হয় গলাচিপা উপজেলার পানপট্টিতে। প্রায় ১২ ঘণ্টার যুদ্ধে নিহত হয় ৭ পাকসেনা। আহত হয় আরও কয়েকজন। পরিস্থিতি বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে যায় পাকসেনারা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মানস কান্তি দত্ত বলেন, এই বিজয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল আরও বেড়ে যায় বিভিন্ন খণ্ডযুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করে মুক্তিবাহিনী। ৭ ডিসেম্বর তারা হানাদারদের কোণঠাসা করে ফেলে। ওই রাতেই একটি লঞ্চে করে পটুয়াখালী থেকে পালিয়ে যায় পাকসেনারা। ৮ ডিসেম্বর মুক্ত হয় পটুয়াখালী।
বিজ্ঞাপন
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক নির্মল কুমার রক্ষিত বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। তবে বিজয়ের ৪৯ বছরে এসে যুদ্ধকালীন বিভিন্ন স্থানে শহীদদের গণকবর ও স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো অরক্ষিত রয়েছে ।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচি সংরক্ষণ ও সংস্কারের মাধ্যমে সরকার নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরবে— এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
এমএসআর