পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত আইনুল হকের (৩২) মরদেহ তিন দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারত।

শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী আইসিপি পয়েন্টে মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।

নিহত আইনুল হক তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। হস্তান্তরের সময় নিহতের বাবা আকবর আলী ও বড় ভাই আজিজুল হকসহ পরিবারের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবি ও নিহতের পরিবার জানায়, গত মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) গভীর রাতে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বাংলাবান্ধা ইউপির অন্তর্গত দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ এলাকার ৪৪৮ মেইন পিলারের কাছে ভারতে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে মারা যান আইনুল হক। বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে নিহতের পরিবার ভারতে থাকা স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পারেন ভারতের কাঁটাতারের ধারে আইনুলের মরদেহ পড়ে আছে। পরে সেই স্থান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিএসএফ।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বিএসএফের সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যোগাযোগ করে। মরদেহ শনাক্তসহ ফেরত পেতে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেয় বিজিবি। পরে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘটনার তিন দিন পর আজ মরদেহ দেয় বিএসএফ।

বাংলাবান্ধা বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার আব্দুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ শনিবার বিকেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির মাধ্যমে পুলিশের কাছে নিহত আইনুল হকের মরদেহ হস্তান্তর করে। পরে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা পোস্টকে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, আজ বিকেলে নিহত আইনুল হকের মরদেহ বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি জিরোপয়েন্ট থানা পুলিশের এসআই জহিরুল ইসলাম গ্রহণ করেছেন। ভারতে ময়নাতদন্ত হওয়ায় এখানে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

এসকে দোয়েল/এমজেইউ