ফেনীতে ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের ১০৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলার ৬ থানায় দায়ের করা ১৭ মামলায় এসব নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৬ নভেম্বর) ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, দায়ের করা ১১টি মামলার বাদী হয়েছে পুলিশ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ৬টি মামলায় বাদী হয়েছেন। তার মধ্যে ফেনী মডেল থানায় ১১টি মামলা, সোনাগাজীতে ২টি এবং দাগনভূঞা, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম থানায় একটি করে নাশকতা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রোববার (৫ নভেম্বর) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল, ফাজিলপুর মুহুরি সেতু এলাকায় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ করেন অবরোধকারীরা। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে। রোববার রাতে ফেনী ও সোনাগাজী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোনাগাজীতে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধের চেষ্টার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ, ১৫টি ছোট-বড় ইটের টুকরা, ৭টি ছোট বড় গাছের গুঁড়ি, ১২ টুকরা কাঁচের অংশ বিশেষ আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে এসব গায়েবি মামলা দিচ্ছে। মধ্যরাতেও দলবল নিয়ে পুলিশ পাড়ায় পাড়ায় অভিযান চালাচ্ছে। এসবের নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। 

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপির চলমান আন্দোলনকে দমিয়ে দিতে সরকার পুলিশ দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার করছে। এসব ষড়যন্ত্র, মামলা-হামলায় এ সরকারের পতন আটকাতে পারবে না। 

ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, সড়কে কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে ছাড় দেওয়া হবে না। নাশকতা করে যেন কেউ বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

তারেক চৌধুরী/জেডএস