গাইবান্ধা সদর থানা

গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক মো. মাসুদ রানার বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর লাশ উদ্ধার ঘটনার একদিন পর থানায় মামলা করা হয়েছে।

মামলায় মাসুদ রানা ছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ী রুমেন হক ও খলিলুর রহমান বাবুকে আসামি করা হয়েছে। তবে আসামি রুমেন ও বাবু পলাতক থাকলেও প্রধান আসামি মাসুদ রানাকে চারদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। 

রোববার (১১ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মামলা রুজুর বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাফুজার রহমান।

ওসি জানান, হাসান আলীর স্ত্রীর দেওয়া লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-অপারেশন) মো. সেরাজুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার প্রধান আসামিকে চারদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম জানান, বিকেলে মামলার প্রধান আসামিকে মাসুদ রানাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। কিন্তু শুনানি শেষে আদালতের বিচারক চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত কাজ শুরু করাসহ পলাতক আসামি রুমেন ও বাবুকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

এর আগে, শনিবার হাসান আলীর লাশ উদ্ধার ঘটনার পরেই তার স্ত্রী বাদী হয়ে সদর থানায় তিনজনকে আসামি করে এজাহার দায়ের করেন। রোববার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে ব্যবসায়ী হাসান আলীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম।

এছাড়া অভিযুক্ত মাসুদ রানাকে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে জেলা শাখার উপদফতর সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অপরদিকে, ঘটনার বিচার ও জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে রোববার দুপুরে শহরের ডিভি রোডে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে নিহতের স্বজন ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও অংশ নেন। 

প্রসঙ্গত, শনিবার (১০ এপ্রিল) সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে মাসুদ রানার বাড়ি থেকে হাসান আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় অভিযুক্ত মাসুদ রানাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। মাসুদ সদর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে এবং জেলা আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক।

রিপন আকন্দ/এমএসআর