সালিস কমায় বেড়েছে মামলাজট
অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু
রাজনীতির কারণে সমাজে সালিসি বিচারের হার কমে যাওয়ায় আদালতে মামলাজট বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু।
তিনি বলেন, আগে ছোটখাটো সমস্যা হলে সামাজিকভাবে মীমাংসা করা হতো। এখন একটা ছোট্ট সমস্যা হলেই রাজনীতি শুরু হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত সেই মামলা পৌঁছায়। ফলে আদালতে মামলার জট কমছে না।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুর ২টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মন্টু আরও বলেন, সমাজে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের একটি নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। তারা কর্মীদের পেছনে ঘোরাতে পছন্দ করেন। কিন্তু কর্মীদের ভেতরের খবর রাখতে চান না। এমন অনেক নেতা আছেন তাদের বেশিরভাগ কর্মী কোমলমতি শিক্ষার্থী রয়েছেন। এসব শিক্ষার্থী নেতাদের পেছনে ঘুরে ঘুরে তাদের জীবন নষ্ট করে দিচ্ছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মন্টু বলেন, আমাদের সময়ে সন্ধ্যার পরে বাইরে বের হলে পাড়ার অভিভাবকরা বকুনি দিতেন। এখন সেই চিত্র আর নেই। একমাত্র পারিবারিক শিক্ষা ও কিছু নেতার অপরিচ্ছন্ন রাজনীতির কারণে তরুণরা আজ বিপথগামী হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতাদের যোগ্য নেতৃত্বের কারণে আমরা সিলেটিরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার। আমাদের চা বাগানে, সার কারখানা, গ্যাসফিল্ডে অন্য জেলার মানুষ পরিচয় গোপন করে চাকরি করছেন। সেখানেও অপরাজনীতি হচ্ছে।
আব্দুর রকিব মন্টু বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায়ও চরম রাজনীতি হয়। যারা স্কুলের বারান্দায়ও যায়নি রাজনৈতিক পদ পদবি ও অর্থের জোরে তারাই স্কুল কলেজের ম্যানেজিং কমিটি এবং গভর্নিংবডির সদস্য হচ্ছেন। তারা একজন সর্ব্বোচ্চ ডিগ্রীধারী প্রধান শিক্ষককে কীভাবে পরামর্শ দিবেন?
তিনি আরও বলেন, সমাজের এসব অসঙ্গতি দূর করতে জনপ্রতিনিধি হয়ে সকলের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। সেজন্য সিলেট-৩ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পরবর্তীতে মনোনয়ন দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু আমাদের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস মৃত্যুবরণ করায় এই আসন খালি হয়ে গেছে। তাই আমি নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী।
তুহিন আহমদ/এমএসআর