কাউনিয়ায় আ.লীগের সভাপতি-সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কাউনিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘আওয়ামী লীগের ত্যাগী, নির্যাতিত, নিপীড়িত ও ষড়যন্ত্রের শিকার ৯০ দশকের নেতাকর্মী’ লেখা ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম মায়া ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরে সুষ্ঠু তদন্তে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি জোরালো আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
এ সময় অভিযোগ করা হয়, ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন, মিথ্যা মামলায় কোনঠাসা, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে অন্তর্ভুক্ত করা, কমিটি বাণিজ্যসহ দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী নানা রকম কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন সভাপতি-সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের ত্যাগী, নির্যাতিত, নিপীড়িত ও ষড়যন্ত্রের শিকার ৯০ দশকের নেতাকর্মীদের মুখপাত্র আশরাফুল আলম বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম মায়া ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান তাদের নিজ স্বার্থ হাসিলের মোহে দলকে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে উপজেলার ত্যাগী নেতাকর্মীদের পরিকল্পিতভাবে সোনা মিয়া হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। অথচ পরবর্তীতে দলের হাই-কমান্ডের তদন্তে জানা যায় নিহত সোনা মিয়া দলের কোনো কর্মী ছিলেন না। অথচ তাকে কর্মী দেখিয়ে দলকে বিভক্ত করেছে। বিতর্কিত এই কমিটির কার্যক্রম আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর ফলাফল নিশ্চিত বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও বিএনপি-জামায়াতের চলমান হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির বিরুদ্ধে বর্তমান নেতাদের কোনো ভূমিকা নেই দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশজুড়ে অগ্নিসন্ত্রাস, হরতাল ও অবরোধের নামে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। সেখানে কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কোনো প্রকার প্রতিরোধ কর্মসূচি গ্রহণ না করে ঘরের কোণায় লুকিয়ে আছেন। অথচ আমরা পদবঞ্চিত ৯০ দশকের নেতাকর্মীরা পূর্বের ন্যায় ২৪ ঘণ্টা জীবন বাজি রেখে রাজপথ পাহারা দিয়ে আসছি।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সরদার আব্দুল হাকিম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক, হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, দিলদার আলী, হাসনা পারভীন মুক্তি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর