বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা এলাকায় হিলটন নাথ হিসেবে সমাহিত মরদেহটি উদ্ধার করে মাহে আলমের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টে মরদেহটি মাহে আলমের প্রমাণিত হওয়ায় বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।  

গত বুধবার (৮ নভেম্বর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খোকন হোসেন এই আদেশ দেন। ওই আদেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ১৫ দিনের মধ্যে মরদেহ উত্তোলনপূর্বক মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এসব কার্য সম্পাদন করতে বলা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গেল ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয় চিলা এলাকার হিলটন নাথ। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। এর তিনদিন পরে ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা মরদেহ পাওয়া যায়। হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের ভুল দাবির প্রেক্ষিতে ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ অজ্ঞাতনামা মরদেহটি তার কাছে হস্তান্তর করে। হিলটন নাথ হত্যা এবং মাহে আলম নিখোঁজ বিষয়ে খুলনার দাকোপ এবং বাগেরহাটের মোংলা থানায় দুুটি পৃথক মামলা হয়।

পরে নিখোঁজ হওয়া ব্যবসায়ী মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার দাবির প্রেক্ষিতে খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলি আদালত হিলটন হিসেবে সমাহিত মরদেহটির ডিএনএ টেস্টের জন্য আদেশ দেন। হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্ট’র প্রেক্ষিতে গেল ১ আগস্ট প্রকাশিত ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ় ভাবে প্রমাণিত হয় যে, অজ্ঞাত মরদেহ হিলটন নাথের নয়। ডিএনএ পরীক্ষায় আরও প্রমাণিত হয় যে, অজ্ঞাত মৃতদেহ সুমন রানার জৈবিক পিতা, অর্থ্যাৎ মাহে আলম’র। মাহে আলমের ছেলে সুমন রানা বলেন, আদালত আমার বাবার মরদেহ উত্তোলনপূর্বক হস্তান্তরের আদেশ প্রদান করেছে। এখন আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি বাবার মরদেহটি পাওয়ার পর। মুসলিম রীতি অনুযায়ী দাফন সম্পন্ন করবো। পাশাপাশি বাবাকে হত্যা ও মরদেহ গুমের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

মাহে আলম হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর ইমরান হোসেন বলেন, মরদেহ উত্তোলনের আদেশের কপি হাতে পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেখ আবু তালেব/এমএএস