সাভারের আশুলিয়ায় যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করেছে আশুলিয়া থানা যুবলীগ। এ সময় টঙ্গী-আশুলিয়া ইপিজেড সড়কটি প্রায় আধাঘণ্টা বন্ধ রাখেন নেতাকর্মীরা। এতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আশুলিয়া থানা যুবলীগের আয়োজনে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপাইল এলাকায় সড়কটি বন্ধ করে সমাবেশ করা হয়। ফলে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপাইল থেকে জামগড়া পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে বিকেল ৫টার দিকে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপাইল ত্রি-মোড় এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যুবলীগের হাজারো নেতাকর্মী সড়কটি বন্ধ করে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। ফলে পুরো সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিসহ ব্যাপক হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। কয়েকজন কর্মীকে ঘুষি মারতে দেখা যায় থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারকে। এ সময় মারধরের শিকার এক যুবলীগ কর্মীর পোশাক ছিঁড়ে গেলে স্থানীয় একটি কাপড়ের দোকান থেকে পোশাক কিনে পরতে দেখা গেছে।

মারধরের শিকার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতির ভাই হাফিজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুল আমীন ভাইয়ের প্যানেলের লোক। আমাদের লোকজনই আমাকে মেরেছে। বিষয়টি পরে দেখা যাবে।

প্রায় আধাঘণ্টা সড়কে আটকে থাকা কাভার্ডভ্যান চালক মোজাম্মেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। এমনিতেই দীর্ঘ সময় যানজটে পড়ে থাকতে হয়। আমি যখন ইউনিক এসেছি তখন আবারও যানজটে পড়েছি। আধাঘন্টাণ্টায় বাইপাইলে এসে আবারও আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। তিন সড়কের মুখ বন্ধ করে যুবলীগ সমাবেশ করায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

আলী নূর যাত্রীবাহী বাসের যাত্রী নাজমা বেগম বলেন, তারা (যুবলীগ) সমাবেশ করছে ভালো কথা। আমাদের যাতায়াতের জন্য এক পাশ খোলা রাখলে ভালো হতো। প্রায় আধাঘণ্টা আমাদের অযথা বসে থাকতে হয়েছে। গরমে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

যানজটের ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবুল হাসান বলেন, নবীনগর-চন্দ্রা মহসড়কে যানজটের বিষয়টি দেখছি। আর টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কটি ঢাকা জেলা পুলিশের অধীনে। এছাড়া ওই সড়কে উন্নয়ন কাজ চলায় একটু যানজটের সৃষ্টি হয়। 

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মইনুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, তেমন কিছু হয়নি। তবে কর্মীদের মাঝে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আহ্বায়ক তো কাউকে মারধর করেনি।

মাহিদুল মাহিদ/আরএআর