যদি কেউ এক-এগারো করার দুঃস্বপ্ন দেখেন বা অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেন তাহলে তিনি সংবিধানের ৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডিত হবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। 

তিনি বলেন, যদি কোনো বিদেশি নাগরিক অসাংবিধানিক পন্থায় দেশের ক্ষমতা রদবদলের চেষ্টা করেন, তার বিরুদ্ধেও দেশের যে কোনো নাগরিক সংক্ষুদ্ধ হয়ে মামলা করলে সেই ব্যক্তিও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধের আওতায় আসবেন। এমন কাজ যদি কোনো ব্যক্তি বা কোনো গোষ্ঠী করে থাকে তাহলে বাংলাদেশের আর কেউ মামলা না করলেও আমি একজন নাগরিক হিসেবে তার বিরুদ্ধে মামলা করবো। সুতরাং এমন কাজ কেউ করার আগে সংবিধানের ৭ নং অনুচ্ছেদ পাঠ করবেন।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর সরকারি ফজর উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আক্কেলপুর পৌরসভা আয়োজিত গণ-সংলাপে এক-এগারো নিয়ে দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তির প্রশ্নের জবাবে হুইপ স্বপন এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা জনগণের প্রথম চাহিদাগুলো পূরণ করে একটা জায়গায় এসেছি। এখন আমাদের টার্গেট বেকারত্ব ও দারিদ্র্যমুক্ত আক্কেলপুর-কালাই-ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট-২) উপজেলা গড়ে তোলা। এই স্বপ্ন নিয়ে আমরা কাজ করছি। আগামী ২০২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ সাল এই চার বছরের মধ্যে আমরা এই তিন উপজেলাকে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলবো। এতে যত রকমের কাজ করার দরকার আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই কাজগুলো করবো।

আক্কেলপুর পৌর এলাকার উন্নয়ন, নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি ও দারিদ্র্য দূরীকরণ বিষয়ক এই গণ-সংলাপে নানা প্রশ্ন তুলে ধরেন পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষ। তাদের সরাসরি প্রশ্নের জবাব দেন হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

হাস্তাবসন্তপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি মজনু মিয়া বলেন, আমাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩০ ঘরের বাসিন্দারা একটি পুকুরের মাছ চাষ করছে। আর আমরা ১৭৫ ঘর পুকুর থেকে বঞ্চিত। পুকুর পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হুইপ মহোদয়কে অনুরোধ করেছি। হুইপ মহোদয় প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রশিদ কবিরাজ বলেন, গণ-সংলাপ অনুষ্ঠানে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু সমস্যা নিয়ে হুইপ মহোদয়কে প্রশ্ন করেছিলাম। হুইপ মহোদয় বিষয়গুলো দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহীদুল আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, আক্কেলপুর পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। পৌরসভার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে গণ-সংলাপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। হুইপ মহোদয় এতে সরাসরি পৌর এলাকার জনগণের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।।

চম্পক কুমার/আরএআর