সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়
সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন ও চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। গত দুই দিন থেকে এসব ট্রেন প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা পর স্টেশনে আসছে ও ছেড়ে যাচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ সকল ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীরা।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সিলেট রেলস্টেশনের ম্যানেজার নুরুল ইসলাম বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে সিলেট রেলস্টেশনে দেখা যায় নির্ধারিত সময়ে ট্রেন না ছাড়ার কারণে সিলেট রেলস্টেশন এলাকায় যাত্রীরা অলস সময় পার করছেন। অনেকেই একা আবার কেউ কেউ পরিবার নিয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে আছেন।
সিলেট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন চট্রগ্রামের আবুল হোসেন। পরিবার নিয়ে সিলেটে ঘুরতে এসেছিলেন। ঢাকা পোস্টকে আবুল হোসেন বলেন, সিলেট থেকে ট্রেন রাত সাড়ে ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এখনো ট্রেন স্টেশনেই আসেনি। শুনেছি রাত ১টার পরে আসতে পারে। পরিবার নিয়ে কত সময় স্টেশনে কাটাব সেই চিন্তা করছি।
বিজ্ঞাপন
সিলেট থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন সিলেট নগরীর বাসিন্দা মোস্তাক আহমদ। ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, প্রায় ছয় দিন আগে টিকিট কেটে রেখেছিলেন। আজ রাত ৮টার দিকে সিলেট রেলস্টেশনে এসে তিনি খবর পান চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা ট্রেন রাতে সিলেট স্টেশনে এসে পৌঁছাবে। পরে সেটি উদয়ন হয়ে চট্টগ্রামে যাবে। ট্রেনটি ঠিক কখন আসবে কেউ বলতে না পারায় বাসায়ও যেতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে নিয়ে সিলেট স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে বসে আছেন তিনি।
সিলেট রেলস্টেশনের ম্যানেজার নুরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, দুই দিন আগে (২২ নভেম্বর) রাত ৮টায় হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রাউদগাঁও এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে রেললাইন সচল হয়। তবে রেললাইন স্বাভাবিক হলেও চট্টগ্রামগামী ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। আশা করা যায় আগামীকাল শনিবার থেকে এই শিডিউল বিপর্যয় ঠিক হয়ে যাবে। কারণ শনিবার উদয়ন এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় পরশুদিন থেকে যথাযথ সময়ে ট্রেন আসা-যাওয়া করবে। আর কোনো সমস্যা হবে না।
মাসুদ আহমদ রনি/এমজেইউ